ফেঁসে যাচ্ছেন অনেক তারকা!

অপরাধ এইমাত্র বিনোদন রাজধানী

শোবিজেও ক্যাসিনো আতঙ্ক


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক : অবৈধভাবে ক্যাসিনো ও জুয়া চালানোর দায়ে মতিঝিলের আরামবাগ, দিলকুশা, ভিক্টোরিয়া ও মোহামেডানের মতো নামি দামি ক্লাবে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে ক্লাবগুলো থেকে ক্যাসিনো ও জুয়া খেলার সরঞ্জামও জব্দ করা হয়েছে।
ক্যাসিনো কা-ে ফেঁসে গেছেন অনেক প্রভাবশালী ব্যাক্তি। অনেকেই রয়েছেন নজরদারিতে। এরমধ্যে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র‌্যাবের হাতে আটক হন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।
গত শুক্রবার আটক হন রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম। আটক হয়েছেন আরও বেশ ক’জন। তাদের পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
সেই জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে মুখ খুলছেন আটক হওয়া ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের প্রভাবশালীরা। তারা পুলিশকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন। বেরিয়ে আসছে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ক্লাবের নাম। তালিকায় আসতে পারেন শোবিজের বেশ ক’জন নারী তারকাও।
ফিল্মপাড়া বলে খ্যাত কাকরাইল পাড়া। তারই আশপাশে মতিঝিল, আরামবাগ, ফকিরাপুলে জুয়া ও ক্যাসিনোর অবাধ সাম্রাজ্য গড়ে তোলা হয়েছে। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, বেশ কিছু ক্যাসিনোতে যাতায়াত ছিলো অনেক উঠতি মডেল ও অভিনেত্রীর।
শুধু তাই নয়, ক্যাসিনোর নিয়ন্ত্রক বিভিন্ন নেতা ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো অনেকের, এমনটাও শোনা যাচ্ছে।
বেশ কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে, টেন্ডার বাগিয়ে আনতে উঠতি মডেল ও নায়িকাদের ব্যবহার করতেন গ্রেফতার হওয়া ঠিকাদার জি কে শামীম। আরও অনেক নেতা ও প্রভাবশালীরাই তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতেন বড় কাজ ভাগিয়ে নেয়ার জন্য।
অনেক মডেল ও নায়িকারা আবার এসব নেতা-ব্যক্তিদের বান্ধবী হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। সেই সম্পর্কের প্রভাব খাটিয়েছেন তারা শোবিজে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হঠাৎ শক্ত অবস্থানে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। নেতৃত্বের উপর তলায় চলছে ধড় পাকড়। বেরিয়ে আসছে অনেক অজানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। ফেঁসে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা অনেকেই। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে ফেঁসে যেতে পারেন অনেক তারকাও।
শোবিজে ভর করেছে আতঙ্ক। কখন কোন তারকার নাম প্রকাশ হয় সেই শংকায় ভুগছেন শোবিজের বাসিন্দারা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসে চীন ও নেপালের অন্তত ৪০০ প্রশিক্ষিত তরুণ-তরুণী ঢাকার বিভিন্ন ক্যাসিনোয় কাজ করতেন। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে তারা কাজ করতেন। কেউ রিসেপশনে, কেউ ইলেকট্রোনিক জুয়ার বোর্ড অপারেটিংয়ে এবং কেউ নিয়োজিত ছিলেন ক্যাসিনো থেকে অর্থ পাচার কাজে।
ক্যাসিনোয় আসা জুয়াড়িদের মনোরঞ্জনের জন্য আনা সুন্দরী গার্লদের রাখা হতো রাজধানীর গুলশান, নিকেতন, বনানী, ধানমন্ডি, উত্তরা, পল্টন, ফকিরাপুল, শাহজাহানপুর এর বিভিন্ন এলাকার প্রাসাদোপম ভবনে। তাদের আনা-নেয়া করা হতো প্রতিষ্ঠানের কালো কাচঘেরা নিজস্ব গাড়িতে।
ঢাকার ক্যাসিনোয় শুধু ভিনদেশি তরণ-তরুণীই নয়, পেটের দায়ে অথবা বিলাসী জীবন-যাপনের জন্য এই চক্রে জড়িয়ে পড়েছে দেশের শিক্ষিত তরুণীরাও। তাদের মধ্যে আছে উঠতি অনেক মডেল ও অভিনেত্রীও।

👁️ 1 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *