স্পোর্টস ডেস্ক : ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালের টস হওয়ার কথা সন্ধ্যা ছয়টায়। এর ঘণ্টা খানেক আগে বৃষ্টি শুরু হয়েছে মিরপুরে। কাভার দিয়ে ঢাকা রয়েছে সেন্টার উইকেট। সময় মতো টস হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
বৃষ্টি থামার পর মাঠ খেলার উপযুক্ত মনে হলেই মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হবে। তবে কোনো কারণে রাত পৌনে ১০টার মধ্যে খেলা শুরু করা না গেলে সিরিজের বাইলজ অনুসারে উভয় দলকেই যুগ্ন চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে।
এই নিয়ে অষ্টমবার কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলো বাংলাদেশ। এর মধ্যে তিনবারই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। ইংল্যান্ডে দ্বাদশ বিশ্বকাপের আগে গেল মে’তে প্রথমবারের মত ওয়ানডে টুর্নামেন্টে শিরোপা জয়ের স্বাদ নেয় বাংলাদেশ। আয়াল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ঐ ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারায় মাশরাফির দল। ওয়ানডের শিরোপা জয়ের স্বাদ নেয়া শেষে ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ট্রফি ঘরে নেয়া সুযোগ বাংলাদেশের।
২০১৬ সালে এশিয়া কাপে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টির কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিলো বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে হওয়া কোন টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মত ফাইনালে উঠেও শিরোপার স্বাদ নিতে পারেনি টাইগাররা। ভারতের কাছে ফাইনালে ৮ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। ঐ আসরে পাকিস্তান-শ্রীলংকার মত বড়-বড় দলকে হারায় টাইগাররা।
২০১৮ সালে শ্রীলংকায় নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। সেবারও ভারতের কাছে হার মানে তারা। ৪ উইকেটে ম্যাচ হেরে যায় টাইগাররা।
তবে তৃতীয়বারের মত ফাইনালে খেলতে নামা বাংলাদেশের সামনে এবার আর ভারত নয়, সাকিববাহিনীর প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। মানসিকভাবে আত্মবিশ্বাসী হয়ে আছে বাংলাদেশ। কারন লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানদের ৪ উইকেটে হারায় সাকিব-মুশফিকরা। ফলে আফগানিস্তানের কাছে টানা চার ম্যাচ হারের বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসে বাংলাদেশ। সেই সাথে লিগ পর্বের সেরা দল হয়ে ফাইনালে উঠে টাইগাররা। লিগ পর্বের চার ম্যাচের তিনটিতে জয় পায় বাংলাদেশ।
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ছয়বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। এরমধ্যে চারবার আফগানরা, দু’বার জয় পায় বাংলাদেশ। তবে জয় দিয়ে লিগ পর্ব শেষ করায় ফাইনালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফেভারিটের তকমাটা পেয়েছে বাংলাদেশই। লিগ পর্বে ৪ ম্যাচে দুই জয় ছিলো আফগানিস্তানের।
ফাইনালের আগে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে আফগানিস্তান। কারন লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। ফলে ফাইনালে রশিদের খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে ১০ শতাংশ সম্ভাবনা থাকলেও, ফাইনাল খেলবেন বলে জানিয়েছেন রশিদ। তবে রশিদ যদি না খেলতে পারলে, মানসিকভাবে আরও সাহস পাবে বাংলাদেশ। কারন বল হাতে যেকোন সময় ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখেন রশিদ।
লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসের অষ্টম ওভারে ফিল্ডিংয়ের সময় ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন রশিদ। মাঠে ফিরে ১৪তম ওভারে প্রথম বোলিং আক্রমণে এসেই উইকেট তুলে নেন তিনি। পরের ওভারেও নিজের দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন রশিদ। এতে ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখে আফগানিস্তান। কিন্তু ঐ ইনিংসের ১৮ ও নিজের তৃতীয় ওভারে বল হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি রশিদ। বিশ্বসেরা এই স্পিনারের ঐ ওভার থেকে ১৮ রান তুলে ম্যাচের লাগাম নিয়ে নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব ও মোসাদ্দেক হোসেন।