শীর্ষ সন্ত্রাসী রিপনের দুই ভাইর চাঁদাবাজি

অপরাধ আইন ও আদালত এইমাত্র জাতীয় রাজধানী

ফলো আপ

নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্যামপুর থানার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও অস্ত্র ব্যবসায়ী মোঃ রিপন অস্ত্র ব্যবসা, মাদক, জমি দখল, চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিল। ১৯৯৭ ও ১৯৯৮ সালে দুই দুইবার অস্ত্র ও মাদকসহ ডিবির হাতে ধরা পড়ে। পরবর্তীতে জামিনে মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। বর্তমানে রিপন ফ্রান্স এ অবস্থান করছে। এখন ফ্রান্সে বসে অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা ও জমি দখল চালিয়ে যাচ্ছে। সোহারাওয়ার্দী কলেজের সাবেক ছাত্রদলের ক্যাডার অস্ত্রব্যবসায়ী একরাম এর অন্যতম সহযোগী রিপন তার অস্ত্র ব্যবসায় এর পার্টনার ছিল। তার অন্যতম দুই সহযোগী আপন সহোদর দুই ভাই মোহাম্মদ শাহ আলম কাকন ও মোহাম্মদ খোকন আলম (যার মোবাইল নাম্বার 018 3111 8834) এর দ্বারা অস্ত্র-মাদক, জমি দখল, চাঁদাবাজি করছে যার ফলে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য গত ১৯/০৭/২০১৯ ইংরেজি তারিখে ৬টি বিদেশি আধুনিক অস্ত্র ও ১২৮ রাউন্ড গুলি এবং ১টি হোন্ডা(কাকনের) সহ রিপনের সহযোগী মোহাম্মদ রাজু গাজী, মোঃ শওকত হোসেন ও মোহাম্মদ মিনহাজকে শ্যামপুর থানার পুলিশ হাতে নাতে গ্রেফতার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে কাকন, খোকন ও বাবুল পুলিশের চোখ এড়িয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশের তদন্তে কাকন ও খোকনের নাম উঠে আসে। শ্যামপুর থানার মামলা নম্বর ২৩ (৭) ১৯। বর্তমানে কাকন ও খোকন অস্ত্র বেচাকেনা করছে বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের কাছে। অস্ত্র ব্যবসার টাকা হুন্ডির মাধ্যমে রিপনের কাছে পাচার করে। কাকন ও খোকন তার আপন চাচার বসতবাড়ি তিন তলা বিল্ডিং সহ অবৈধভাবে দখল করে আছে। বর্তমানে খোকন ও কাঁকন এতটা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে, পুলিশ ও ডিবি তাদের গ্রেপ্তার করতে পারতেছে না। তাদের এত ক্ষমতার উৎস কোথায় এলাকাবাসী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চায়। জনগণের কাছে অনুরোধ এই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ এবং মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের দেখামাত্র প্রশাসনকে জানাতে অনুরোধ করছি এবং শ্যামপুর ও গেন্ডারিয়া থানার এলাকাবাসী সবাই বেশি বেশি করে শেয়ার করুন যাতে এই সন্ত্রাসীরা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। ফ্রান্সের বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে অনুরোধ করছি এই মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী মো. রিপনকে (বর্তমানে ফ্রান্সের মোবাইল নাম্বার ০০৩৩৬৭৩৮০১৮১৫) বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করার জন্য। তাদের এসব অপকর্মের ফলে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *