মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলে আঙ্গুরা বেগম হত্যা মামলা বিচারাধীন থাকলেও আসামী জরিপ খান,পলাতক রয়েছে।
নড়াইল জেলার চাঁচুড়ী ইউনিয়নের নাঙ্গুলীয়া গ্রামের মো:সবুর খান এর স্ত্রী আঙ্গুরা বেগমকে গত ৩০-১০-২০১৮ ইংরেজি তারিখ মঙ্গলবার সকালে পূর্বশত্রুতার জের ধরে,নিজ বাড়িতে,হান্নান শেখ,পিতা সুরাপ সেখ,জরিপ খান,গোপাল খান,আলিম খান,উভয় পিতা মোকসেদ খান,ইকবাল শেখ,পিতা সুরাপ শেখ,ডাবলু শেখ,পিতা,লুৎফর শেখ,মিশার শেখ,পিতা,নিকাইল শেখ,আলঙ্গীর শেখ,পিতা,দাউদ শেখ,বিদ্দুৎ খান,পিতা নজরুল খান,জসিম শেখ,পিতা,মান্দার শেখ,সর্ব-সাং-আমতলা,থানা কালিয়া,জেলা নড়াইল। আঙ্গুরা বেগমকে আসামিগণ সিলাইরেন্স ও লাঠি দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে আগে থেকে ওৎপেতে,পিটিয়ে হত্যা করে। আঙ্গুরা বেগমের স্বামী কৃষক মো:সবুর খান ঐ দিন সকালে বারই পাড়া বাজার থেকে বাজার করে নিজ বাড়িতে এসে দেখেন,ছেলে শাকিল খান এর স্ত্রী পুত্রবধু তানজিলা বেগম,তার নিজ শয়ন কক্ষে অচেতন হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে,তাকে ডাকাডাকি করলেও কোন সাড়া না পেলে,নিজের কক্ষে গিয়ে দেখেন,তার ঘরের সদর দরজা ভিতর থেকে আটকানো রয়েছে,এসময় বাথরুমের দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকে দেখেন,তার স্ত্রী আঙ্গুরা বেগমের মাথায় আঘাত লেগে মাথার ঘিলু ঘরের ফ্লোরে ছড়িয়ে আছে এবং আমার স্ত্রী মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এসময় আমি চিৎকার দিলে স্থানীয় ডাবলুর মা,নিরা বেগম এগিয়ে আসলে,আমি দৌড়ে পাশেই বিবাহ্ দেয়া আমার মেয়েসহ মেয়ে জামায়কে খবর দিলে,স্থানীয়’রাসহ আমার মেয়ে জামায় আমার স্ত্রী ও পুত্রবধুকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আমার স্ত্রী আঙ্গুরা বেগমকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। পরে খবর পেয়ে কালিয়া থানা পুলিশ,আমার মৃত-স্ত্রীরীর সুরতাহাল করে,আমাকে এবং আমার ছেলে শাকিল খানকে জিগ্যাসা বাদের জন্য,কালিয়া থানায় নিয়ে যায় এবং আমার স্ত্রীকে নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়,পরে আমার স্ত্রীরীর মরাদেহ আমাদের কাছে পুলিশ হস্তান্তর করে। আঙ্গুরা বেগম হত্যার ঘটনায় একই দিন ৩০-১০-২০১৮ তারিখ মঙ্গলবার রাতে কালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দাখিল করা হয়,যার মামলা নং-১৭। এ হত্যা মামলা পুলিশসহ পিবিআই যশোর তদন্ত করে বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন এবং হত্যা মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ মামলার ২য় আসামি জরিপ খান,এখনো পলাতক রয়েছে,বাকি আসামিগণ বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে আছেন। মো:সবুর খান আরো জানান,আমার স্ত্রী আঙ্গুরা বেগম কে,আসামি জরিপ খানসহ আসামিগণ আমার স্ত্রীকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে,হত্যাকারী সকল আসামিদের আটক করে তাদের সর্বচ্চ সাজা ফাঁসি চাই বলেও কাঁন্নাজনীত কষ্ঠে সাংবাদিকদের জানান। নাঙ্গুলীয়া গ্রামের একাধীক স্থানীয় ব্যাক্তি সাংবাদিকদের অভিযোগ করে জানান,আঙ্গুরা বেগমকে পরিকল্পত ভাবে পুর্বশত্রুতার জের ধরে হত্যা করা হয়েছে,আঙ্গুরা বেগমের হত্যাকারীদের সর্বচ্চ শাস্তি ফাঁসি দেয়া হোক বলেও জানান। এঘটনার প্রত্যক্ষদোশী,তানজিলা বেগম জানান,আমি ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় হটাৎ করে পাশের গ্রাম আমতলার কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসী’রা আমাদের বাড়িতে অনধীকার প্রবেশ করে আমাকে আহত করে,আমার শাশুড়ীকে এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিটসহ হত্যা করে পালিয়ে যায়,এসময় আমি গ্রুরুতর আঘাত পেয়ে অচেতন হয়ে যায়,পরে আমার আর কিছু মনে থাকে না,পরে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুস্থ হলে যানতে পারি,আমার শাশুড়ী মারা গিয়েছে। ২য় আসামি হত্যাকারী জরিপ খানকে ধরিয়ে দিতে পুলিশসহ বিজ্ঞ আদালতকে সহযোগিতা করতে সকল নাগরিককে আহব্বান জানান,ভুক্তভোগী সবুর খান। আসামিকে ধরিয়ে দিতে সবুর খানের মোবাইলের যোগাযোগ নাম্বার-০১৯৬৬০৩৯৫৩৮ ও নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করুন।