সুকান্ত-দিপালীর অনৈতিক কান্ডে অতীষ্ঠ স্বরূপকাঠীবাসী

অপরাধ আইন ও আদালত বরিশাল সারাদেশ

পিরোজপুর প্রতিনিধি : হিন্দু ধর্মের নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে বার বার অনৈতিক সম্পর্ক করে কাটাপিটানিয়ায় চরম বিতর্কের জন্ম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বলদিয়ার কাটাপিটানয়ার অরুণের স্ত্রী দিপালী বেপারী প্রতিবেশী লেবুবাড়ীর সুভাষ কির্তনিয়ার ছেলে সুকান্ত কির্তনিয়ার অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক এলাকার লোকজনকে ভাবিয়ে তুলেছে। প্রত্যক্ষদর্শিরা মিডিয়াকে বলেন, আপন বড় ভাইও এদের অনৈতিক কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ। গত সপ্তাহে বড় ভাই কালা বেপারী ছোট ভাইয়ের বউয়ের অবৈধ মধু চন্দ্রিমার রকচটা ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী। স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, এই জুটি বিগত সময় থেকে উভয়েই উভয়ের শারীরিক স্বাদ নিচ্ছে রাতের পর রাত। কথায় আছে, চোরের দশদিন আর গৃহস্থের একদিন।
এদিকে দিপালীর ও সুকান্তের অসামাজিক ও অবৈধ প্রেম কাহিনীর ঘটনা নিয়ে এলাকার সবাইকে লজ্জায় ফেলেছে। এ ব্যাপারে স্বামী অরুণ বেপারী লজ্জায় সমাজে মুখ দেখাতে পারছেনা। তবে স্বামী পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন মিডিয়ার লোকজনদের। আসলে এটা আমার বড় ভাই পরিমল বেপারী (কালা) বেপারীর চক্রান্ত। আমার স্ত্রীকে সহ্যই করতে পারেনা। তবে সুকান্ত সমাজের একটা বাজে চরিত্রের লোক। ওর বিষয়ে সমাজে অভিযোগের অন্ত নেই। সমাজে দিপালীর বেহাল্লাপণা হিন্দু জাতির জন্য এক ধরনের কলঙ্ক বলে হিন্দু জাতির লোকজন মনে করেন। তবে একটি পক্ষ বলেন, বড় ভাই কালাই আসল ভিলেন। তবে সুকান্ত সমাজের জন্য একটা জগন্য ও নগন্য কিট ছাড়া আর কিছুই নয়। অপরদিকে লেবুবাড়ী এলাকার সবচেয়ে বেহায়া চরিত্রের অধিকারী সুকান্ত। বিগত আট বছর আগে এক বিবাহিত হিন্দু বধুর সাথে লটরপটর করে। সেই সময়ে এলাকার পঞ্চায়েতরা কঠিন বিচার করেন। বিচারের পর সুকৌশলী সুকান্ত কির্তনিয়া ভারতে চলে যায়। ভারতের অশোক নগরে এক আত্মীয়র বাসায় আশ্রয় নেন। আসলে কয়লা চিরকালই কয়লা!। চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি অশোক নগরেও। সেখানেও নারী ঘটনার বহু অপকর্মের খল নায়ক মামলা খেয়ে পালিয়ে আসে বাংলাদেশেে। আর নিজ গ্রামে এসে শুরু করে নানান অপকর্ম। কুমারী বালিকা সহ বিবাহিত বধুদের সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে চরম বিতর্কের জন্ম দেয়।
এ ব্যাপারে এলাকার চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভীষণ চিন্তিত। এলাকার মানুষের দাবী, সমাজ থেকে নষ্ট প্রকৃতির প্রতিবেশী দেশের বহু মামলার আসামি বদ চরিত্রের সুকান্তকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হোক। পাশাপাশি দিপালীকে সামাজিক ভাবে কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হোক। এ ব্যাপারে জেলা মহিলা পরিষদের এক নেত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আসলে সমাজে নষ্ট প্রকৃতির নারী পুরুষের কঠিন বিচার হয় না বিধায় বার বার পার পেয়ে যায় পাপীরা। সমাজে সকল অপরাধের বিচার হওয়া দরকার। আর তাতেই সমাজে অপরাধ প্রবনতা কমে আসে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *