সারেংকাঠীতে এনজিওর নামে কাশেম’র বেআইনি কাজকর্ম

অপরাধ জীবন-যাপন বরিশাল সারাদেশ

পিরোজপুর প্রতিনিধি : নেছারাবাদ উপজেলার সারেংকাঠী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের সহজ সরল মহিলাদের সাথে এনজিওর নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিয়মনীতি না মেনে এলাকার নিরিহ ও দুস্থঃমহিলাদের সাথে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে প্রতারণা করেছে মৃত জবেদ সিকদারের ছেলে কাশেম সিকদার। এদিকে এলাকার প্রতারিত হওয়া মহিলাদের অভিযোগের ভিত্তিতে কাশেমের অজানা গোপন তথ্য ফাঁস হযে যায়। এলাকায় ভূয়া এনজিওর নাম ব্যাবহার করে গত কয়েক বছর ধরে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
এ ব্যাপারে এলাকার প্রতারিত হওয়া (ছদ্মনাম) তামান্নাসহ কাকলি, বিলকিস, মরিয়ম, হেলেনা জানান, কাশেম সিকদার আমাদের সাথে এক ধরনের চিটিং করেছে। আমাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তবে ভিন্নকথা বলেছে আর এক প্রতিবাদি নারী নার্গিস আক্তার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আসলে টাউট কাশেম সিকদার শুধু টাকাই নেয়নি এলাকার বহুনারীর মান-সম্মান নিয়ে ছিনিমিমি খেলেছে। লজ্জায় মুখ ফুটে কিছু না বললেও আকার ইঙ্গিতে অনেক কিছু প্রকাশ পেয়েছে। সাবিনা চরম পর্যায়ে ঘৃণা প্রকাশ করেন কাশেম সিকদারের উপর। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, কাশেম সিকদার সারেংকাঠী ইউনিয়নে আমাদের সাথে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আমাদের অর্থের ও শরীরের ক্ষতি করেছেন। এই জাতীয় নষ্ট লোকের কঠিন শাস্তি হোক। এদিকে অভিযোগের প্রধান হাসিনা সরাসরি কাশেমের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পাশাপাশি ফরিদা, বজলু বেপারী, সমেথ বিবি ও অভিযোগে সহমত। প্রতিবাদ স্বরূপ এলাকার মহিলাদের তোপের মুখে পড়ে কাশেম সিকদার।
এই ব্যাপারে এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন মিডিয়াকে বলেন, আসলে এই জাতীয় প্রতারণার জন্য কাশেমের সাথে হারুন হাওলাদারসহ মিল ফরিদও জড়িত আছেন। তিন মাথার যোগসাজসে সমাজে প্রতারণার আশ্রয় নিতে সাহস পাচ্ছেন। তবে মিডিয়ার প্রশ্মে কাশেম সিকদার জেলা সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। থানায় অভিযোগসহ আগামী ১১ তারিখের মধ্যে পাওনা টাকা পরিশোধ করার অঙ্গীকার নামা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। সর্বশেষ তথ্যমতে এলাকায় কাশেম সিকদার চরম বিতর্কের রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায চিটিংবাজ কাশেম সিকদারের সুন্দর সমাধানের প্রত্যাশায় এলাবাসীরা।


বিজ্ঞাপন
👁️ 6 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *