নিজস্ব প্রতিবেদক : আবরার ফাহাদ হত্যার বিচার দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তারা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তারা বলেন, মামলার অভিযোগপত্র না দেয়া পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। তাছাড়া দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে তাদের বিচার এবং অপরাধ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হয়, সেজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি বলেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা আট দফা দাবি উত্থাপন করেন।
দাবিগুলো হলো-
১. খুনীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করতে হবে।
৩. দায়েরকৃত মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের অধীনে স্বল্পতম সময়ে নিষ্পত্তি করতে হবে।
৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কেন ৩০ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়নি তা তাকে সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে আজ বিকেল ৫টার মধ্যে জবাবদিহি করতে হবে। একই সঙ্গে ডিএসডব্লিউ স্যার কেন ঘটনাস্থল থেকে পলায়ন করেছেন তা উনাকে আজ বিকেল পাঁচটার মধ্যে সকলের সামনে জবাবদিহি করতে হবে।
৫. আবাসিক হলগুলোতে র্যাগ এর নামে এবং ভিন্নমত ধমানোর নামে নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে।
৬. রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে আবাসিক হল থেকে ছাত্র উৎখাতের ব্যাপারে অজ্ঞ থাকা এবং ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হওয়ায় শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে ১১অক্টোবর , ২০১৯ তারিখ বিকেল ৫টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।
৭. মামলা চলাকালীন সকল খরচ এবং আবরারের পরিবারের সকল ক্ষতিপূরণ বুয়েট প্রশাসনকে বহন করতে হবে।
৮. সাংগঠনিকভাবে বুয়েট থেকে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
উল্লেখ্য, রোববার রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।