নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তার দলের সবাই ভালো, তা বলা যায় না। নানা কারণে আগাছা-পরগাছা দলে অনুপ্রবেশ করেছে। ছাত্রলীগ অনেক ভালো কাজও করেছে। চাঁদের গায়েও খুঁত আছে। তবে গুটিকয়েক লোকের কারণে আওয়ামী লীগের বা ছাত্রলীগের অর্জন ম্লান হয়ে যেতে পারে না।
আজ ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বর্তমান সরকারের অনেক অর্জন রয়েছে। শেখ হাসিনার উন্নয়নের সুফল দেশবাসী ভোগ করছে। দেশে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে।
মন্ত্রী কাদের বলেন, অপরাধীদের শাস্তি পেতেই হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে অপরাধ করে কেউ ছাড় পায়নি, পাবেও না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে অপরাধ করে কেউ ছাড় পায়নি। অপরাধী সবাইকেই শাস্তি পেতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি এবং দলের নেতাদের বিরুদ্ধেও অপরাধের দায়ে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার নজির রয়েছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ড খুবই দুঃখজনক। কেউ ভিন্নমতাবলম্বী হলেও তাকে মেরে ফেলা যায় না। এ ঘটনায় ৫ মিনিটের মধ্যে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কয়েকজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। অপরাধী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির শাসনামলে তাদের দলের একজন অপরাধীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এমন নজির নেই। বরং তাদের শাসনামলে হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে দেশকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করা হয়েছিল।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগও এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তার পরও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দলের কেউ অপরাধ করলে তাকে ছাড় দিচ্ছেন না। সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আন্দোলনের একটু ঢেউও নেই, বিএনপির আন্দোলনে জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। বিএনপির জনপ্রিয়তা এবার রংপুর নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থেকে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তিনি কখন কী বলেন, তা নিজেও জানেন না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশে ২১ বছরের অপশাসনে মূল্যবোধের অবক্ষয় হয়েছে, সেখান থেকে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে তুলে এনে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।