মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচারণ এবং তথ্য প্রদানে অনীহার ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করেছেন, নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডাঃ প্রেমানন্দ মন্ডল। বৃহম্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় সদর হাসপাতালের হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডাঃ প্রেমানন্দ তার বক্তব্যে বলেন,আমি আমার পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি। অপনারা (সাংবাদিক’রা) বিনিত ভাবে বিষয়টি দেখবেন,সরি। নড়াইলের ভালো করার জন্য আমার মন-মানসিকতা আছে এবং এটিই আমি সব সময় চায়। এ সংবাদ সম্মেলনেও হাসপাতাল কর্তিপক্ষের সাথে সাংবাদিকদের বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক প্রেমানন্দ সাংবাদিকদের সামনেই শিকার করেন,এমন ঘটনা হাসপাতালে মাঝে মাঝেই ঘটে,কেন কিষের জন্য রোগীদের সাথে এমন ঘটনা ঘটে জানতে চাইলে কোন উত্তর দিতে পারেননি এ তত্ত্বাবধায়ক। এদিকে,দির্ঘবছর ও দির্ঘদিন ধরে নড়াইল সদর হাসপাতালে নড়াইলের স্থানীয় ডাক্তার,নার্স,স্টাফ চাকরি করায় এমন ঘটনা প্রতিনীয়তই ঘটছে,স্থানীয় ডাক্তার,নার্স,স্টাফ’রা নিজের এলাকার প্রভাব খাটিয়ে রোগীসহ রোগীর স্বজনদের সাথে খারাপ ব্যাবহারসহ রোগীসহ স্বজনদের গায়ে হাত তোলে বলেই এমন ঘটনা বার বার হাসপাতালে ঘটে বলে জানা যায়। কেন কিষের বোনিয়াদে বছরের পর বছর একই হাসাপাতালে চাকরি করে ভেবে পাই না,এমন কি বার বার অভিযোগের পরে অন্যথায় বদলি হলেও ৩ মাসের মধ্যে আবারও চলে আসে নড়াইলে। কোন নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করেই প্রতিনীয়তই রোগীসহ রোগীর স্বজনদের সাথে খারাপ ব্যবহারসহ গায়ে হাত তোলে এসব হাসপাতালের নার্স ও স্টাফ। হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়,অনিয়মের কারখানা নড়াইল সদর হাসপাতাল,হাসপাতালের বাথরুম গুলা দেখলেই বোঝা যায় কেমন সেবার মান এ সরকারি হাসপাতালে,হাসপাতালের মেন ফটকে অবস্থিত জাতীয় শহিদ মিনার,নেই কোন সন্মান বা নেই কোন কর্তিপক্ষের তদারকী,ময়লা আবর্জনাসহ জুতা স্যান্ডেল পরে বসে বসে বাদাম চিবচ্ছে হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজন’রা কিন্তু দেখার কেউ নেই। উল্লেখ্য,গত ১০ অক্টোবর দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে লোহাগড়া উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের সুমাইয়া বেগম নামে এক নারী। পরের দিন ১১ অক্টোবর দুপুরে পেটে ব্যাথা জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসা ঔই রোগী ও তার স্বজনদের মারধর করার অভিযোগ উঠে হাসপাতালের ডাক্তার,নার্স ও স্টাফদের বিরুদ্ধে। পরের দিন বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরের দিকে রোগীর অভিযোগ ও ঘটনার সত্যতা জানতে সাংবাদিকরা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ প্রেমানন্দ মন্ডলের কাছে গেলে তিনি কোন বক্তব্য না দিয়ে তার কক্ষ থেকে সাংবাদিকদের চলে যেতে বলেন এবং অসৌজন্যমূলক আচারণ করেন। পরে তত্ত্বাবধায়কের অসৌজন্যমূলক আচারণ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয় এবং বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হলে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ আসাদ উজ-জামান,ডাক্তার,নার্স,স্টাফ ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলন শেষে সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ আসাদ উজ-জামান এর অফিসে সাংবাদিক’রা সালাম জানিয়ে এবং অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করলে,আসাদ উজ-জামান অফিসে প্রবেশ করতে বল্লেও অফিসের পিয়ন সাংবাদিকদের আবারও আসাদ উজ-জামান এর সামনেই বলে স্যার নাস্তা করছে আপনারা পরে আসেন,একেই বলে বাপের চেয়ে ছেলে বড়,হাসপাতাল কর্তিপক্ষের চেয়ে ক্ষমতা বেশি পিয়ন,নার্স,স্টাফদের একারনে বার বার এমন নেক্কারজনক ঘটনা ঘটে এবং ঘটাই।