নামী কোম্পানির নকল ওষুধ বানানো হতো চুয়াডাঙ্গার ওয়েষ্ট ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এর কারখানায়

অপরাধ

!! পুলিশের হাতে গ্রেফতার দু’জন হলো নকল ওষুধের পাইকারি বিক্রেতা আলী আক্কাস শেখ ও ওয়েস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এর মালিক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। তাদের কাছ থেকে ১০ লাখ ৩৪ হাজার ২৮০ পিস নকল প্যানটোনিক্স-২০ ট্যাবলেট, ১৮ হাজার পিস নকল মোনাস-১০ ট্যাবলেট, নকল ট্যাবলেট তৈরির পূর্ণাঙ্গ ডায়াস সেট ও ট্যাবলেট প্রিন্ট করা ৩৪ কেজি ফয়েল পেপার জব্দ করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা !!


বিজ্ঞাপন

 

 

 

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ নামী কোম্পানির নকল ওষুধ বানানো হতো ওয়েষ্ট ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এর কারখানায়। জ্বর-ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি ও গ্যাস্ট্রিকের মতো রোগের নকল ওষুধ তৈরি হতো কারখানায়। এই চক্রের সদস্যরা নামী ওষুধ কোম্পানির বড় অফিসার বলে পরিচয়ও দিতেন। তাদের কারখানায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হতো না। লোকচক্ষুর আড়ালে বানানো হতো বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন নামী কোম্পানির ওষুধ। দর্শনা পৌরসভার একটি পুরাতন ভবনের নিচতলায় এই কারখানার অবস্থান।

সম্প্রতি কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমানের নকল ওষুধ এবং এসব তৈরির সরঞ্জামাদি সহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগ।

পুলিশের হাতে গ্রেফতার দু’জন হলো নকল ওষুধের পাইকারি বিক্রেতা আলী আক্কাস শেখ ও ওয়েস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এর মালিক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। তাদের কাছ থেকে ১০ লাখ ৩৪ হাজার ২৮০ পিস নকল প্যানটোনিক্স-২০ ট্যাবলেট, ১৮ হাজার পিস নকল মোনাস-১০ ট্যাবলেট, নকল ট্যাবলেট তৈরির পূর্ণাঙ্গ ডায়াস সেট ও ট্যাবলেট প্রিন্ট করা ৩৪ কেজি ফয়েল পেপার জব্দ করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা।

পুলিশ জানায়, গিয়াস উদ্দিন ওয়েস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস নামে আয়ুর্বেদ ওষুধ বানানোর আড়ালে প্যানটোনিক্স-২০, মোনাস-১০ ট্যাবলেটসহ আরও কয়েকটি ব্র্যান্ডের ওষুধ উৎপাদন করে আসছিল প্রতারক চক্র। এসব ভেজাল ওষুধ প্রতারক চক্রের সদস্যরা ছড়িয়ে দিত সারাদেশের ফার্মেসিতে। আর না জেনেই সেসব ওষুধ সেবন করে সুস্থতার বদলে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছিল রোগীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভেজাল ওষুধের মূল ডিলার আলী আক্কাস শেখ, গিয়াস উদ্দিন ওয়েস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) নামে আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরি ও বাজারজাত করার জন্য দর্শনার পৌরসভার একটি ভবনের নিচতলা ভাড়া নেন। গিয়াস উদ্দীনের বাড়ি দর্শনার জয়নগর গ্রামে। এ ঘটনায় দর্শনা থানার ওসি এএইচএম লুৎফুল কবির বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকার অভিযোগের ভিত্তিতে দর্শনা কারখানার সন্ধান পায় ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ।

সে সূত্র ধরেই অভিযান চালায় দলটি। এখান থেকে উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে গিয়াস জামিনে বেরিয়ে এসে পুনরায় তার দুনম্বরী ঔষধের ব্যাবসা চালু করেছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *