নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানা এলাকার জয়নগর আইকে রোডস্থ ওয়াবদা গেটের ২৫০ গজ উত্তরে পাকা রাস্তার উপর থেকে এমআরএস ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ, সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন রুপপুর ঈশ্বরদী পাবনার ১২,৫৭,০০০ (বার লক্ষ সাতান্ন হাজার) টাকা ছিনতাই মামলার রহস্য উদঘাটন, আসামী গ্রেফতার এবং ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত টাকা রাখার ষ্টিলের ফাইল কেবিনেট বক্স উদ্ধার করলো পিবিআই, পাবনা।
মামলার ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আসামী মোঃ জাকির হোসেন, পিতা-মৃত আজিজুর রহমান, সাং-হলুদ বাড়িয়া, বর্তমান সাং-মৌশালা, থানা-পাংশা, জেলা-রাজবাড়িকে গত ১৮ অক্টোবর রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানাধীন মৌশালা গ্রামস্থ আসামীর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ৫ মে২০২০ সালের সকাল অনুমান ১০ টা ৩৫ মিনিটের সময় এমআরএস ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ, সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন রুপপুর ঈশ্বরদী পাবনার ১২,৫৭,০০০ (বার লক্ষ সাতান্ন হাজার) টাকা জনতা ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখায় জমা প্রদান করতে যাওয়ার পথে জয়নগর আইকে রোডস্থ ওয়াবদা গেটের ২৫০ গজ উত্তরে পাকা রাস্তার উপর থেকে সকাল অনুমান ১০ টা ৪৭ মিনিটের সময় ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে।
এ সংক্রান্তে এমআরএস ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ বিসিক শিল্প নগরী কুষ্টিয়ার উপ-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোঃ মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় অজ্ঞাতনামা ২ জন আসামীর বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানার মামলা নং-০৬ তারিখ-০৬/০৫/২০২০, ধারা-৩৯২ পেনাল কোড ছিনতাই মামলাটি রুজু করেন।
মামলাটি ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ১ বছরের অধিক সময় তদন্ত করে সন্ধেহভাজন ৭ জন আসামীকে গ্রেফতার পূর্বক আদালতে সোপর্দ করে এবং আসামীদের ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পেয়ে চুড়ান্ত রিপোর্ট সত্য আদালতে দাখিল করে।
পরবর্তীতে বাদী মামলাটি নারাজির আবেদন করলে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই, পাবনা জেলায় পরবর্তী তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন।
অ্যাডিশনাল আইজিপি পিবিআই বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই, পাবনা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোঃ ফজলে এলাহী এর সার্বিক সহযোগিতায় মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক লক্ষী কান্ত রায় মামলাটি তদন্ত করেন।
তদন্তেপ্রাপ্ত সন্ধেহজনক আসামী মোঃ জাকির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, মামলার ঘটনার ১ দিন পূর্বে অর্থাৎ গত ৪ এপ্রিল ২০২০ সালে এমআরএস লিঃ কুষ্টিয়া এর হিসাব বিভাগের ম্যানেজার তাকে মামলার ঘটনার দিন অর্থাৎ গত ৫ মে ২০২০ সালে টাকা জনতা ব্যাংকে পে-অর্ডার করতে বলে। এমআরএস ফিলিং ষ্টেশন লিঃ কুষ্টিয়া এর ইনচার্জ মাসুদ সাহেব ফোন দিয়ে ১২,৫৭,০০০ (বার লক্ষ সাতান্ন হাজার) টাকা জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে পে-অর্ডার করতে বলে।
এমআরএস ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন রুপপুর ঈশ্বরদী পাবনার সিনিয়র ইনচার্জ মোঃ জাকির হোসেন উক্ত টাকা জনতা ব্যাংকে দেওয়ার জন্য রওনা হওয়ার পূর্বে ফিলিং ষ্টেশনে তার রুমের মধ্যে ব্যবহৃত স্টিলের ফাইল কেবিনেট বক্সে টাকা আত্মসাৎ করার জন্য রাখে।
আসামী ব্যাগের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন থেকে বের হয়ে তার ব্যবহৃত ডিসকভার ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল যোগে জয়নগর আইকে রোডস্থ ওয়াবদা গেটের ২৫০ গজ উত্তরে পাকা রাস্তার উপর সকাল অনুমান ১০ টা ৪৭ মিনিটের সময় ছিনতাইয়ের নাটক রচনা করে।
এ বিষয়ে পাবনা জেলার পিবিআই, পুলিশ সুপার মোঃ ফজলে এলাহী বলেন তদন্তে প্রাপ্ত আসামী মোঃ জাকির হোসেন (৪১), পিতা-মৃত আজিজুর রহমান,সাং-হলুদ বাড়িয়া, বর্তমান সাং-মৌশালা, থানা-পাংশা, জেলা-রাজবাড়িকে গত ১৮ অক্টোবর, গ্রেফতার পূর্বক পিবিআই, পাবনা অফিসে নিয়ে আসা হয়।
উক্ত আসামীর স্বীকারোক্তি মোতাবেক পাবনা জেলায় অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাইয়ের টাকা রাখার স্টিলের ফাইল কেবিনেটটি এমআরএস ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন রুপপুর ঈশ্বরদী পাবনার ইনচার্জ এর ব্যবহৃত রুমের ভিতর থেকে উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক জনাব লক্ষী কান্ত রায় জানান আসামী আত্মসাৎকৃত টাকা গত প্রায় আড়াই বছর যাবৎ সাংসারিক কাজে ব্যয় করেছেন ফলে উক্ত টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
তবে আসামী মোঃ জাকির হোসেন নিজেকে এবং ঘটনার সাথে জড়িয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।