নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব-১ কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, কুমিল্লায় সম্রাটের সঙ্গে আটক সহযোগী আরমানকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে র্যাব।
তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) থেকে র্যাবে হস্তান্তরের পর তাদের র্যাব হেফাজতে নেওয়া হলো।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক এবং র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সম্রাটের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে করা মামলা দুটি তদন্ত করবে র্যাব। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক র্যাব-১ কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তারের সময় সম্রাটের সঙ্গে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার আরমানকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব-১ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
রমনা থানায় দায়ের করা মাদক ও অস্ত্র মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
একই সঙ্গে মাদক মামলায় যুবলীগের এই শাখার বহিষ্কৃত সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকে পাঁচদিনের রিমান্ড দেয়া হয়।
গত ৯ অক্টোবর সম্রাটের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির কথা ছিল। কিন্তু অসুস্থ হয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তাই রিমান্ড শুনানির জন্য সেদিন আদালত মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
গত ৭ অক্টোবর (সোমবার) সম্রাটের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। উভয় মামলার এজাহারে বলা হয়েছে—মতিঝিল, আরামবাগ, ফকিরাপুল ও পল্টনসহ রাজধানীতে ১০টি ক্লাবে ক্যাসিনো ব্যবসা ছিল সম্রাটের। সবার কাছে সে ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি, দলীয় পদের অপব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করতো। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করতো তার ক্যাডাররা। সম্রাটের কার্যালয় থেকে র্যাব অবৈধ অস্ত্র, মাদকসহ নির্যাতন করার জন্য ইলেকট্রিক শকড দেওয়ার মেশিন উদ্ধার করেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।