‘ঐক্যের ডাক গ্রামে ছড়িয়ে দিতে হবে’

জাতীয় রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঐক্যের ডাক জেলায়-জেলায়, গ্রামে-গ্রামে ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।


বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, জনগণ ক্ষমতার মালিক হিসেবে তারা যেন নিজের ভূমিকা রাখতে পারে। সেজন্য এই ঐক্যকে সুসংহত করতে হবে। এবার জনগণকে ক্ষমতার মালিকের ভূমিকা রাখতে হবে। সেজন্যই আমাদের এই ঐক্যের ডাক।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিজোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথ বলেন।

‘নির্বাচন কেন্দ্রীক সংকট সমাধানে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন ও প্রাসঙ্গীকতা’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কামাল হোসেন বলেন, আমরা অতীতে ঐক্যের ডাক দিয়ে ভালো সারা পেয়েছি, সফল হয়েছি। আপনারা এখানে যেমন ঐক্যের ডাকে সারা দিয়ে এসেছেন। সেরকম পারায়, মহল্লায়, গ্রামে সব জায়গায় এই ঐক্যের ডাককে নিয়ে যাবেন। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে তারা এই দেশের মালিকের ভূমিকা রাখতে পারবে। আমাদের আকাঙ্খিত গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সাংবিধানিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারবো। সেই ধরণের শাসনের মধ্যে জনগণ তাদের আকাঙ্খিত লক্ষ্যগুলো পূরণ করতে পারবে। আসুন আমরা এই শপথ নেই আমাদের এই ঐক্য সবচেয়ে বড় শক্তি।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সরকার বিভিন্নভাবে অনৈক্যে রাখার চেষ্টা করে। সাম্প্রদায়িকতাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হয়। সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থ ও কালো টাকা ব্যবহার করে অনৈক্যের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তারা কোনো দিনই সফল হয়নি। যখন আমরা ঐক্যের ডাক দিয়েছি। মানুষ সরকারের এই নেতিবাচক চেষ্টাকে প্রত্যাখান করেছে এবং ঐক্য আরও গড়ে উঠেছে। এই ঐক্যের মধ্যে দিয়ে আমরা বিজয় হয়েছি এবারও করতে হবে।

আগামী নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, অর্থনীতিকে গতিশীল করে, গণতন্ত্রকে ভালোভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে আমরা দেশের উজ্জল ভবিষ্যৎ গড়ার পদক্ষেপ অবশ্যই নেব। আমাদের সবচেয়ে বেশি যেটা পক্ষে আছে সেটা হলো জনগণ এই বিষয়টার গুরুত্ব বোঝে।

তিনি বলেন, আমরা যে ঐক্যের ডাক দিয়ে নেমেছি সেটায় অনেক সারা পড়ছে। আমরা আগামীতে দেশকে জনগণের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবো। জনগণ ক্ষমতার মালিক এটা সংবিধানে লেখা আছে। সাময়িকভাবে কোনো সরকার বৈধভাবে আসলেও তারা মালিক নয়। মালিকের প্রতিনিধি। আর যারা অবৈধভাবে ওখানে আছে, তারাতো কিছুই না। তারা অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিজোটের জাতীয় সমন্বয়ক এ আর শিকদার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব, সহসভাপতি তানিয়া রব, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া, মুক্তিজোটের জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির প্রধান মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *