দিনাজপুরে আগাম চাষে ভুট্টার বাম্পার ফলনে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে

Uncategorized অন্যান্য

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষকরা আগাম ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন। এই অঞ্চলের মাটি ভুট্টা চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলন ভালো হয়। আর অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে অধিক লাভ হয় বলে দিন দিন ভুট্টা চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে।

জানা যায়, ডিসেম্বর মাস ভুট্টার বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। তবে আগাম চাষ ও বাড়তি লাভের আশায় অনেকে অক্টোবর মাসের শেষের দিকেই ভুট্টা চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এখন এই অঞ্চলের চাষিরা জমি তৈরিসহ লাইন টেনে আগাম বীজ বপনের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলতি বছর ফুলবাড়ী উপজেলায় ৩ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের গঙ্গা প্রসাদ, পাঠকপাড়া, আলাদিপুর ইউনিয়নের রাঙামাটি, রাজারামপুর, এলুয়ারি ইউনিয়নের গণিপুর ও খয়েবাড়ী ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর এলাকার চাষিরা শ্রমিক নিয়ে দলবেঁধে জমিতে দড়ি দিয় লাইন টেনে ভুট্টার বীজ বপন করছেন।

শিবনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামের ভুট্টা চাষি মামুনুর রশিদ বলেন, গত বছর সাড়ে ৩ একর জমিতে ভুট্টার চাষ করেছিলাম। ভালো ফলন হওয়ায় লাভবান হতে পেরেছিলাম।

তিনি আরো বলেন, এবছর জমির পরিমান বাড়িয়ে সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করছি। অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভুট্টায় সেচ, সার কম লাগে। আর রোগবালাইও কম হয়। ফলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। আগাম চাষ করার ফলে সময়ের দুই মাস আগেই ভুট্টা ঘরে তোলা যাবে। বাজারদর ভালো থাকলে লাভবান হতে পারবো।

দাদপুর মালিপাড়া গ্রামের আগাম ভুট্টাচাষি বিদ্যুৎ হোসেন বলেন, সময়ের আগেই ভুট্টার বাজারে বিক্রি করে লাভবান হওয়ার জন্য ২ বিঘা জমিতে আগাম ভুট্টার চাষ শুরু করে দিয়েছি। এউ গ্রামে শুধু আমি একা নই। প্রায় ৩০ ভাগ কৃষক আগাম ভুট্টা চাষে ঝুঁকেছেন।

উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্র মতে, ভুট্টা বছরে দুইবার চাষ করা যায়। ডিসেম্বরে ভুট্টার চাষ শুরু হলেও আগাম ভুট্টা চাষ শুরু হয় নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার বলেন, ফুলবাড়ী উপজেলায় দিন দিন ভুট্টা চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। কম খরচে ভালো ফলন ও বাজারদর ভালো পাওয়া যায় বলে চাষিরা আগাম ভুট্টা চাষ করেন। আশা করছি ভুট্টার বাম্পার ফলনের মাধ্যমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *