নড়াইলের গুবরা বাজারের সরকারি সম্পত্তি নিয়ে সংবাদ প্রচার করায় সাংবাদিককে টাকা দিয়ে রফাদফার চেষ্টা

Uncategorized অন্যান্য

মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
ভূমিদর্ষুদের হাত থেকে সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদ প্রচার করায়,ভূমি কর্মকর্তার নির্দেশে নির্মান কাজ বন্ধ। সাংবাদিককে প্রচারকৃত সংবাদ ডিলেট এবং আর কোন সংবাদ প্রচার না করতে,বিভিন্ন মহলদারা সুপারিশ,অবশেষে টাকার বিনিময়ে রফাদফার চেষ্টা।
(১১নভেম্বর) সকালে কড়লা ইনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা আফরোজা খানম জানান,আমার উর্ধতন কর্মকর্তা নড়াইল সহকারী কমিশনার ভূমি,সেলিম আহমেদ,আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন,সুলতান মোল্যা’র নির্মানাধীন কাজের জায়গা পরিদর্শন করতে এবং তাদের কাগজপত্র দেখে এবং প্রাথমিক অবস্থায় কাগজ পত্র দেখেছি,বাদ বাকি আমার উর্ধতন কর্মকর্তা নড়াইল সহকারী কমিশনার ভূমি,সেলিম আহমেদ কাগজপত্র দেখে বলবেন। কাগজপত্র সঠিক আছে কি না এবং জমি আমাদের সরকারি না সুলতান মোল্যা’র বলেও জানান।এসময়,সুলতান মোল্যা বিভিন্ন সাংবাদিককে জানান,সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম,সকল সাংবাদিকের নামে বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছেন,কিন্তু কিছু এসময় পরে সাংবাদিক মো:রফিকুল ইসলামাকে সুলতান মোল্যা কিছু টাকার বিনিময়ে এ ঝামেলা চেপে যেতে অনুরোধ করেন এবং আমাদের বিষয় আমরা বুঝবো বলেও নানা ধরনের নেতা কর্মিদের নাম ব্যবহার করে ভয় ভিতি দেখেন। এদিকে,অভিযোগটি হুবহু তুলে ধরা হলো। বিষয়: সরকারী ১/১ ও ০১ নং সম্পত্তি ভূমিদর্ষুদের হাত থেকে রক্ষা করা প্রসঙ্গে। জনাব,বিনীত নিবেদন এই যে,আমরা নড়াইল সদর উপজেলাধীন ৮নং কলোড়া ইউনিয়নের কলোড়া+গোয়ালবাড়ীর বাসিন্দা হইতেছি হুজুরের নিকট আকুল আবেদন এই যে,৮নং কলোড়া ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ী মৌজার খাস খতিয়ানভূক্ত হালট শ্রেণির ৫৫ শতক জমি ১০১৯ নং দাগের হালট শ্রেণির জমি বিগত সি.এস.রেকর্ড ও ০১ খতিয়ান ভূক্ত এই রাস্তা দিয়া গোয়াল বাড়ী গ্রামের ২০০-৩০০ জনবল এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় উৎসব দূর্গা বিসর্জন ও মুকুল মেলা থেকে নদী পর্যন্ত এই রাস্তা দিয়া দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে থাকে। কিন্তু এখন (১) সুলতান মোল্যা,পিতা-মৃত গঞ্জের মোল্যা,সাং-কলোড়া এই সরকারি রাস্তা জোরপূর্বক দখল করে দোকান ঘর নির্মান করেছে এবং আমাদের নদীর যাতায়াত পথ বন্ধ করে দিয়েছে। সুলতান মোল্যা নাকি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে টাকা দিয়ে থাকে। তাই আমরা তাকে রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে বলে আমি ইউনিয়ন অফিস থেকে লিজ নিয়েছি। তোদের ক্ষমতা থাকলে আমাকে সরাস। তিনি ৮নং কলোড়া ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি ছিল। এখন আওয়ামী-লীগ করে,তাই দলের ভয় দেখায়। (২) নাজমুল মোল্যা,পিতা-মৃত আয়ুব আলী মোল্যা,সাং-কলোড়া,সে ঐ ০১ নং খাস খতিয়ান ও ১/১ নং খতিয়ানের জাল জালিয়াতি কাগজ পত্র তৈরী করে প্রথম ২২৩৯/ix 1/২০২১-২০২২ নং নামজারী মামলা দাখিল করে,পরে তদন্ত করে মৃত ব্যক্তি সাইদুর রহমান ৫-৭ বছর আগে মারা গেছে,তার পরে আবার ৩৩৪৩ নং নামজারী করে তাতে মৃত আবুসাইদের ওয়ারেশদের বাদ দিয়া নাম পত্তন কেস অনুমোদন করে,ঐ নামজারী কেসের যে কাগজপত্র রায় ডিগ্রি ও ছোলে দাখিল করেছে তা সম্পূর্ণরূপে জাল কাগজপত্র এবং এর আগে এই জমি একই ব্যক্তি নাজমুল মোল্যা গং নামপত্তন করেছে দলিল দিয়া তাও একটি জাল দলিলের মাধ্যমে। সে বর্তমানে এই সরকারি ১/১ নং সরকারী সম্পত্তির দাগ নং-১০৬১ ও ১০৬২ দাগে জমি ৭১ শতক এটা মূল্যবান সম্পাত্তি হইতেছে। যাহা সরকারী সম্পত্তি হওয়া সত্তেও সরকারী কোন লোক তাদের নামজারী কাগজপত্র যাচাই করা প্রয়োজন মনে করে নি। কারন তারা অনেক টাকার বিনিময়ে নামপত্তন করে দিয়াছে। এখন এই ৭১ শতক জমির মূল্য একাত্তর লক্ষ টাকা। তাই তারা দুই লক্ষ টাকা দিয়া নামজারী করেছে। জাল রায়,ডিগ্রি,দলিল তৈরী করেছে,হুজুর দয়া করে সরকারী রাস্তা থেকে উচ্ছেদ করে আমাদের পূর্বের যাতায়াতের ব্যবস্থা এবং এই সুলতান ও নাজমুল গংদের হাত থেকে সরকারী সম্পত্তি রক্ষা করে সরকারের নামে বহাল রাখার জন্য আবেদন করিতেছি এবং আমরা আগে ডিসি অফিসে ও সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে আবেদন করে কোন ফল পাই নাই। অতএব,হুজুর দয়া করে এই এলাকার ভূমিদর্ষু সুলতান ও নাজমুল মোল্যা গংদের হাত থেকে আমাদের এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করে এদের জালিয়াতি কাগজপত্র ও নামজারী কেস গুলি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি। অনুলিপি সদয় অবগতির জন্যঃ
১। ভূমি মন্ত্রনালয়,বাংলাদেশ সচিবালয়,ঢাকা।
২। জেলা প্রশাসক,নড়াইল। ৩। উপজেলা নির্বাহী অফিসার,নড়াইল সদর,নড়াইল। বিনীত নিবেদক এলাকার ব্যক্তিবর্গ। উপর্যুক্ত বিষয়ে জনাব মনি কুন্ডু,সাং-কলোড়া,উপজেলা: নড়াইল সদর,জেলা: নড়াইল এ কার্যালয়ে একটি আবেদনপত্র দাখিল করেছেন। বর্তমানে জনাব সুলতান মোল্ল্যা (গ), ০১ নং খাস খাতিয়ানের সম্পত্তি জাল জালিয়াতি কাগজপত্র তৈরি করে ২২৩৯/iX-I/২০২১-২০২২ নং নামজারি কেস দাখিল করেন এবং ৩৩৪৩ নং নামপত্তন কেস অনুমোদন করে ডিগ্রি ও ছোলে দাখিল করেছেন যা সম্পূর্ণরূপে জাল মর্মে আবেদনকারী আবেদনপত্রে উল্লেখ করেছেন। এমতাবস্থায়,উক্ত আবেদনপত্রে বর্ণিত বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। সংযুক্ত: ০১ (এক) ফর্ম। জেলা প্রশাসক নড়াইল। অনুলিপি : ০১। জনাব মনি কুন্ডু, সাং-কলোড়া,উপজেলা নড়াইল সদর, জেলা: নড়াইল। সিনিয়র সহকারী কমিশনার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় খুলনা। ফোন: ০২৪৭৭-902083 divcomkhulna@mopa.gov.bd।
(১০ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,
গুবরা বাজারে ঢুকতে বা হাতে,ওয়েল্ডিং লেদের দোকান ছাদ ঢালাই হয়েছে এবং নির্মান কাজ চলছে। নাম পরিচয় জানাতে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধীক ব্যক্তী জানান,আমরা কিছুই বলতে পারবো না,সুলতান মোল্যা কিভাবে কাগজপত্র করলো বা কার কাছ থেকে এই জমি কিনেছে জানিনা কিন্তু জন্মের পর থেকে দেখে আসছি এটা সরকারি হালট,গ্রামের লোকজন এ হালট দিয়ে নদিতে যেত এবং প্রতিমা বিসার্জন দিত,বাশের হাট ছিলো,এটা কবে মালিকানা ছিলো বা হলো বলতে পারি না বলেও জানান। অভিযুক্ত লেদমিস্ত্রি সুলতান মোল্যা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জানান,দৈনিক প্রতিদিনের আলো পত্রিকার নড়াইল জেলার দায়ীত্বে আছি আমি এবং ২০১৪ সালে বিমল নামের ব্যক্তির কাছ থেকে আমি জমি কিনেছি শুয়া ২ শতক এবং জমির সকল প্রকার কাগজপত্র আমার নামে আছে,এটা আমার কিনা জমি বলে জানান। নড়াইল সহকারী কমিশনার ভূমি,সেলিম আহমেদ জানান,অভিযোগ পেয়েছি সরকারি জমিতে সুলতান মোল্যা নামের একজন ব্যক্তী পাকা দোকান ঘর নির্মান করছে। অভিযোগ পেয়ে নির্মান কাজ বন্ধ করা হয়েছে,সুলতান মোল্যা’র কাগজপত্র থাকলে সেই কাগজপত্র দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে,তার আগে সুলতান মোল্যা নির্মান কাজ করতে পারবে না বলেও জানান।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *