নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ গত সোমবার ২১ নভেম্বর ও মঙ্গলবার ২২ নভেম্বর,সন্ধ্যা ৭ টায় রংপুর জেলা পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ অডিটোরিয়ামে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এর আয়োজনে প্রয়াত মান্নান হীরার রচনা ও সুদীপ চক্রবর্তীর নির্দেশনায় শূন্যন রেপার্টরি থিয়েটারের প্রধান নির্বাহী মোমেনা চৌধুরীর একক অভিনয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত নাটক ‘লাল জমিন’ এর ৩১০ ও ৩১১ তম সফল মঞ্চায়ন হয়।
দুদিনব্যাপী আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আয়োজনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এর পুলিশ কমিশনার নুরেআলম মিনা বিপিএম (বার), পিপিএম।
আরো উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলার পুলিশ সুপার মোঃ ফেরদৌস আলী চৌধুরী, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এর উপ-পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, সহকারী পুলিশ কমিশনারবৃন্দসহ সকল পদবীর পুলিশ সদস্যগণ, কমিউনিটি পুলিশের সদস্যগণ, স্থানীয় নাট্যজন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষকবৃন্দ।
নাটকের মূল উপজীব্যে দেখা যায় তের ডিঙ্গিয়ে চৌদ্দ ছুঁই ছুঁই এক কিশোরী কন্যার গল্প। ঐ বয়সে কিশোরী এক ছায়ার কাছ থেকে প্রেম পায়, স্বাধীনতার চেতনা পায়, পায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সাহস ও প্রেরণা। তার বাবা যুদ্ধে চলে যায় অগোচরে।
কিশোরী নানা কৌশলে যুদ্ধে যাবার আয়োজন করে। কিন্তু বয়স তাকে অনুমোদন দেয় না। এবার কিশোরীর সেই ছায়া-প্রেম সম্মুখে দাঁড়ায়, কিশোরী তার সেনাপতিকে চিনতে পারে। তারপর যুদ্ধযাত্রা…
লক্ষ্যে পৌঁছুবার আগেই পুরুষ যোদ্ধারা কেউ শহীদ হন, কেউ নদীর জলে হারিয়ে যান। পাঁচ যুবতীসহ যুদ্ধযাত্রী এই কিশোরীর জীবনে ঘটে নানা অভিজ্ঞতা।
চৌদ্দ বছরের কিশোরীর ধবধবে সাদা জমিন যুদ্ধকালীন নয় মাসে রক্তরাঙ্গা হয়ে ওঠে। ‘লাল জমিন’ কিশোরীর রক্তরাঙ্গা অভিজ্ঞতার মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর এক নারীর সংগ্রামী জীবনের নাট্যপ্রকাশ।
পুলিশ কমিশনার নাটকের উদ্বোধনী ও সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাটকের একক মঞ্চায়নের প্রধান কুশলী মোমেনা চৌধুরী ও তাঁর দলের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসমৃদ্ধ একটি সাবলিল অভিনয় উপহার দেয়ার জন্য। নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে এ ধরণের নাটকের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
পরিশেষে তিনি অভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরীর হাতে শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট উপহার দেন এবং নাটকের রচয়িতা থেকে শুরু করে নাটকটির ৩১০ ও ৩১১ তম মঞ্চায়ন পর্যন্ত এর পিছনে যাঁরা কাজ করেছেন, সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে দুদিনব্যাপী আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।