নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ পিবিআই নোয়াখালীতে তদন্তাধীন নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার এক হত্যা মামলায় ভিকটিমের পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয় নাই। মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন সহ ঘটনার সহিত জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে ভিকটিমের পরিচয় জানা প্রয়োজন।
গতকাল মঙ্গলবার ২২ নভেম্বর রাত্রি অনুমান সাড়ে ১২ টায় নোয়াখালীর জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন চরফকিরা ইউনিয়ানের পূর্ব চরকচ্ছপিয়া ৯নং ওয়ার্ডের বামনিয়া নদীর পাড়ে জনৈক নুরুল খান প্রঃ শিন্নি ওয়ালা খানের কাঁদা পানি যুক্ত ধানী জমিরে মধ্যে দক্ষিন আইলে পাশে অজ্ঞাতনামা পুরুয়ের (বয়স অনুমান ৫০ বছর) অর্ধ গলিত মৃতদেহ পাওয়া যায়। পুলিশের দায়িত্বরত অফিসার এসআই মোঃ সেলিম মিয়া, বিপি-৭৮৯৮০০১৩৩৩, কোম্পানীগঞ্জ থানা, নোয়াখালী স্থানীয়ভাবে ভিকটিমের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা করেন। মৃত অজ্ঞাতনামা লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত, ময়না তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা সহ উক্ত লাশের দাফন-কাফনের লক্ষ্যে আঞ্জুমান এ মফিদুল আল ইসলাম এবং মেয়র নোয়াখালী পৌরসভা বরাবরে আবেদন করতঃ লাশের দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করেন। এ ঘটনায় নোয়াখালীর জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উক্ত অজ্ঞাতনামা ভিকটিমের (পুরুয়ের) পরনে সাদা পাঞ্জাবী-পাজামা ছিল। ভিকটিমের গায়ের রং ফর্সা, উচ্চতা অনুমান-৫’৬’’। মাথায় চুল নাই, মুখ, ঠৌট, কপাল, কাঁধ, গলা অর্ধগলিত হওয়ায় প্রকৃত অবস্থা নিরূপণ করা সম্ভব হয় নাই। বুক, পেট, পিঠ ফুলে পচন ধরায় এবং দুই হাতের তালু ও দুই পায়ের পাতা ও আঙ্গুল পঁচে গিয়েছে। কোমড়ে কালো কাইতন বা কালো সুতা দ্বারা ১টি তাবিজ বাধা ছিল মর্মে সুরতহাল প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা ভিকটিমের সুরতহালে উল্লেখ করেন।
এমতাবস্থায় মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন সহ ঘটনার সহিত জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে পিবিআই নোয়াখালী জেলার ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী অজ্ঞাতনামা ভিকটিমের পরিচয় সনাক্তের লক্ষ্যে প্রচার মাধ্যমের সহায়তা চেয়েছেন।
যোগাযোগঃ তদন্তকারী কর্মকর্তাঃ এসআই (নিঃ) জনাব মোহাম্মদ মনির হোসেন, পিবিআই, নোয়াখালী জেলা, মোবাইলঃ ০১৮৪০-১৪৫৫২৪।