জন্মদিনে দাহন

Uncategorized অন্যান্য


কুদ্দুস আফ্রাদ ঃ শিশু বেলা, কিশোর বেলা, যুব বেলা ঘটা করে কখনও আমাদের জন্মদিন উদযাপন করা হয়নি।
কিন্তু আশির শেষ ও নব্বইয়ের দশক থেকে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে যারা আমার জন্মদিনের তথ্য জানতেন তারা মাঝেসাঝে কেক না কাটলেও আড্ডার মত খানাপিনার আয়োজন করতেন।

ফেসবুক নামের নতুন যোগাযোগ মাধ্যম চালু হওয়ার পর থেকেই মুলত ঘরে বাইরে কালারফুল জন্মদিন উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা জোরালো হয়। নিজের ভালো না লাগলেও কেককাটা ও গিফট পাওয়া শুরু হয়।

এবারেও সন্ধ্যা রাতে প্রথমেই জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানান প্রিয় ফটো সাংবাদিক বুলবুল আহমেদ ভাই ও প্রিয় সাংবাদিক সংগঠক শাহেদ চৌধুরী।

শাহেদ চৌধুরী মুলত সাংবাদিক সমাজে অমর হয়ে থাকবেন বিশেষ বিশেষ দিনে সাংবাদিকদের উইশ করার তার ব্যতিক্রমী কীর্তির জন্য।
গত রাতে সময় টিভিতে টকশো শেষে দ্রুত ঘরে ফিরেছি প্রিয় ফুটবল দল ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ডের খেলা দেখতে। মাথায় জন্মদিনের বিষয়টি একবারেই আসেনি।ভুলেই গিয়েছিলাম।

খেলা শেষে রাতের খাবারের সময় মেয়ের জামাই সন্তানসম এমরান ফোনে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়। এর কিছু সময় পরেই দেখি মেয়েদের বিশেষ প্রস্তুতি। হাতে গিফট ধরিয়ে দিলেন জীবনসঙ্গী শাহানাজ। তাগাদা দিলেন জামা পাল্টে নিতে।
অগত্যা……..
অতঃপর কেককাটা, মিষ্টিমুখ ইত্যাদি।
বড় সন্তান কুশি এবার কাছে না থাকায় পুরো অনুষ্ঠানটি ভীষণ নিস্প্রভ মনে হচ্ছিল। মুলত, জন্মবার্ষিকী ও বিয়েবার্ষিকী- এ সব অনুষ্ঠানের তদারকি করতো ও নিজ হাতে। মিস ইউ মা। (কুদ্দুছ আফ্রাদের টাইমলাইন থেকে নেওয়া)


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *