বিএনপির সমাবেশের সুবিধার্থে সব করার পরও বাড়াবাড়ি করলে ব্যবস্থা -তথ্যমন্ত্রী

Uncategorized অন্যান্য


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ঢাকায় বিএনপির নির্বিঘ্ন সমাবেশের সুবিধার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলা এবং সেখানে ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ এগিয়ে আনা সত্ত্বেও তারা যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়, বাড়াবাড়ি করা হয়, তাহলে সরকার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

মঙ্গলবার ২৯ নভেম্বর দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সম্মেলন ৮ তারিখের পরিবর্তে এগিয়ে এনে ৬ তারিখ করেছেন।

যাতে সেই মঞ্চ, প্যান্ডেল গুটিয়ে ফেলার পর বিএনপি সময় নিয়ে মঞ্চ এবং তাদের প্যান্ডেল নির্মাণ করতে পারে। কোনো সম্মেলন পিছিয়ে দেওয়া সহজ কিন্তু এগিয়ে আনা সহজ নয়। তারপরও বিএনপির জন্য আওয়ামী লীগ সেটি করেছে। শুধু তাই নয়, বিএনপি তো নির্বিঘ্নে সারাদেশে সমাবেশ করছে।’

সেই সাথে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদেরকে আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, আমরা যখন সমাবেশ করতাম আমাদের ওপর গ্রেনেড হামলা, বোমা হামলা, বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। আমাদের দলীয় কার্যালয়ের দু’পাশে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া ছিলো, সহজে আমাদের সমাবেশ করতে দেয়া হতো না। রাসেল স্কোয়ারে আমরা ২০ জন নিয়ে দাঁড়ালে পুলিশ লাঠিপেটা করতো।

সেই ছবিগুলো আপনারাই সংগ্রহ করেছেন এবং এখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আছে। তাদের আমলে যেভাবে আমাদের প্রয়াত নেতা মো: নাসিমকে পুলিশ লাঠিপেটা করেছিল, আমাদের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা মতিয়া চৌধুরীকে টানাহেঁচড়া করেছিল, আমিও পুলিশের লাঠিপেটা খেয়েছি, এভাবে তাদের কোনো নেতা আমাদের ১৪ বছরের আমলে এসবের শিকার হতে হয়নি। সরকার তাদেরকে সহায়তা করছে বিধায় তারা নির্বিঘ্নে সারাদেশে সমাবেশ করতে পারছে, যা তাদের সময় আমরা করতে পারিনি।’

বিএনপির সমাবেশে জঙ্গিপ্রভাব নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘এদেশের জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি, তাদের কারণেই জঙ্গিদের উত্থান ঘটেছে। সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গিদের যে অপতৎপরতা দেখতে পাচ্ছি এটির সাথেও বিএনপির অপতৎপরতা একই সূত্রে গাঁথা।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান হয়েছে বিএনপির হাত ধরে। বাংলা ভাইকে মাঠেই নামিয়েছিল বিএনপি। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বাংলা ভাইকে পুলিশ প্রটেকশন দেওয়া হয়েছিল। অপারেশন কিলিং কমান্ডার বাংলা ভাইয়ের নেপথ্যে গডফাদার ছিলেন রুহুল কুদ্দুস দুলু, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিনু, আলমগীর কবীর, নাদিম মোস্তফা, ব্যারিস্টার আমিনুল হকসহ আরো অনেকেই।

এভাবেই জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান ও বিস্তৃতি ঘটিয়েছিল বিএনপি। তাদের সময়েই ৫শ’ জায়গায় বোমা ফাটিয়ে জঙ্গিরা তাদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছে, যেটির বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি সারাদেশে সমাবেশের নামে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে এবং দেশে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। একইসাথে দেখা যাচ্ছে জঙ্গিরাও আগের তুলনায় তৎপর হচ্ছে। এ দেশের জঙ্গিগোষ্ঠী, সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি।

তাদের যে ২২ দলীয় জোট যে কত দলীয় জোট সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যাপার তবে যাই হোক সেই জোটের মধ্যে সেই সমস্ত জঙ্গিগোষ্ঠীর নেতারা আছে যারা আফগানিস্তানের তালেবানি নীতি বিশ্বাস ও লালন করে এবং মনে মনে দেশটাকে আফগানিস্তান বানানোর স্বপ্ন দেখে।’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন চীনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে বৈঠকে দু’দেশের চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে গণমাধ্যম, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যখাতে যোগাযোগ বৃদ্ধির নানা বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *