যশোরের ডিবি’র ওসি রুপম কুমার সরকারের সাফল্য অব্যাহত, ক্লুলেস হত্যা, ডাকাতি, আগ্নেয় ও মাদক বিরোধী অভিযানে বিশেষ অবদান

Uncategorized আইন ও আদালত



!! বাঘারপাড়া ডাকাতির ঘটনায় আরও ২ সদস্য গ্রেফতার, ২ ভরি স্বর্ণালংকারসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার !!


সুমন হোসেন (যশোর) ঃ জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এর দিক-নির্দেশনায় ওসি, ডিবি রুপন কুমার সরকার, পিপিএম এর তত্ত্বাবধানে যশোর জেলার আইন-শৃংখলা উন্নয়ন, চুরি/ডাকাতি রোধে জেলা গোয়েন্দা শাখার টিম প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচলনা করে যাচ্ছে।

তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ অক্টোবর, রাত অনুমান ২ টার সময় বাঘারপাড়া থানাধীন করিমপুর সাকিনে জনৈক আরাফাত হোসেন, পিতা-শহিদুল ইসলাম এর বসতবাড়ীতে অজ্ঞাতনামা ১০/১১ জন ডাকাত কর্তৃক সংঘটিত ডাকাতির ঘটনা ( বাঘারপাড়া থানার মামলা নং-১১(১০)২০২২ ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড) সংক্রান্তে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম, শামীম হোসেন ও এলআইসি কনষ্টেবল আব্দুল বাতেনদের সমন্বয়ে একটি টিম তদন্তে নামে।

পরে গত ২৯ ও ৩০ নভেম্বর, যশোর, গোপালগঞ্জ ও খুলনার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত চক্রের ১০ সদস্যকে আটক করে লুন্ঠিত স্বর্ণ ও মোবাইল, নগদ টাকাসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে। ডাকাতদের মধ্যে ৫ জন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে। বাকী ৪ জনকে ৫(পাঁচ) দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ২ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করে।

গত রবিবার ৫ ডিসেম্বর, আসামীদের রিমান্ডে আনিয়া জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদের দেওয়া তথ্য মতে ডাকাত প্রধান আরজ মোল্লাকে নিয়ে গত সোমবার ৬ ডিসেম্বর, ভোরে খুলনার তেরখাদা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।

উক্ত অভিযান পরিচালনা কালে তদন্তে প্রাপ্ত আসামী গোলাম রসুলকে গ্রেফতার করে আরেক তদন্ত প্রাপ্ত আসামী মিরাজ শেখ ওরফে ডেটল কে গ্রেফতার করতে গেলে পালিয়ে যায়। সে সময় তার ঘর থেকে ৪টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে তেরখাদা থানায় ১টি অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়। ( তেরখাদা থানার মামলা নং-০৮ তাং-৬ ডিসেম্বর ২০২২ ধারা- ১৮৭৮ সনের ১৯ (ক) )।

পরে গ্রেফতারকৃত আসামী গোলাম রসুলু এর স্বীকারোক্তি মতে মাহফুজা বেগম নামের মহিলা সদস্যকে আটক করে তার দেওয়া তথ্য মতে তেরখাদা কাটেঙ্গা বাজারে প্রীতম জুয়েলার্স নামক জুয়েলারী দোকান থেকে দেড় ভরি স্বর্ণালংকার ও শ্যামা জুয়েলার্স থেকে ৭ আনা স্বর্ণালংকার জব্দ করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীগণ একটি সংঘবদ্ধ পেশাদার আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরি/ডাকাতি/দস্যুতা মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী গোলাম রসুল এর স্বীকারোক্তি মতে গোপালগঞ্জ সদর থানা এলাকায় সংঘটিত ২টি বাড়ী ও নড়াইল ১ টি বাড়ী সনাক্ত পূর্বক ডাকাতির সত্যতা যাচাই করা হয়।

ইতোপূর্বে গ্রেফতারকৃত ও রিমান্ড প্রাপ্ত আসামীর নাম ও ঠিকানা যথাক্রমে, আরজ আলী (৪৫), পিতা- জহুর মোল্লা, মাতা- সালেহা বেগম, সাং- কুমড়ি পূর্বপাড়া, থানা-লোহাগড়া, জেলা-নড়াইল, সবুজ কাজী (৩৬), পিতা- মৃত আব্দুর রহমান কাজী, সাং-ফলসি পশ্চিমপাড়া, থানা-কাশিয়ানী, জেলা-গোপালগঞ্জ এবং বোরহান সরদার(৩৫), পিতা-মৃত আঃ গফফার সরদার, মাতা- আকলিমা বেগম, সাং-ফলসি চরপাড়া, থানা-কাশিয়ানী, জেলা-গোপালগঞ্জ

গত সোমবার ৬ ডিসেম্বর, গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম ও ঠিকানা যথাক্রমে, গোলাম রসুল (৩৮), পিতা- মৃত তারা ভুইয়া, মাতা- পিয়ারী বেগম, সাং- নলিয়ার চর, থানা-তেরখাদা, জেলা-খুলনা, এবং মাহফুজা বেগম (৫৮), স্বামী- মনু মোল্লা, পিতা- মৃত সোলেমান মোল্লা, মাতা- মৃত ফাতেমা বেগম সাং- অড়ফাঙ্গাসিয়া, থানা-তেরখাদা, জেলা-খুলনা। উদ্ধারকৃত আলামত সমুহ যথাক্রমে, ২ ভরি স্বর্ণালংকার, ৪টি দেশীয় তৈরী ধারালো অস্ত্র।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *