পাকিস্তানের জলসীমায় সাবমেরিন প্রবেশের ভিডিওটি বানোয়াট, দাবি নয়াদিল্লির

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের জলসীমায় ভারতের সাবমেরিন ঢুকে পড়ার ভিডিওকে বানোয়াট বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটি দুবছর পুরোনো বলে দাবি করে ভারতের সচিবালয় সাউথ ব্লক।


বিজ্ঞাপন

ইন্ডিয়ান ডিফেন্স নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ভিডিও প্রসঙ্গে ভারতীয় নৌসেনা প্রধান সুনীল লানবা দাবি করেন, তথ্য বিকৃতি এবং মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের এমন প্রচারে ভারত গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেও জানান তিনি।


বিজ্ঞাপন

এদিকে সাউথ ব্লক সূত্র বলছে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয় এড়িয়ে যুদ্ধে হাওয়া তৈরি করছে পাকিস্তান। ভারতে হামলা চালাতে পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন দেশটির নৌসেনা প্রধান।

তিনি জানান, জলপথে ভারতে ঢুকে ফের নাশকতার ছক কষছে জঙ্গিরা। ইন্দো-প্যাসিফিক রিজিওনাল ডায়লগে এক বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, পুলওয়ামা হামলায় জড়িত জঙ্গিরা একটি রাষ্ট্রের মদত পেয়ে চলেছে। তার এই মন্তব্যের পরই জলপথে জঙ্গিহানার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ এর আগে ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার সময় আজমল আমির কাসভ-সহ অন্য জঙ্গিরা আরবসাগর দিয়েই মুম্বাই উপকূলে হামলা করেছিল।

এদিন ওই ডায়লগে নৌসেনা প্রধান স্পষ্টভাবে জানান, সন্ত্রাসবাদ এখন বিশ্বের শান্তি ও স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে বড়সড় বিপদের কারণ। সারা বিশ্ব এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তার কথায়, সন্ত্রাসবাদের সবদিক দেখে ফেলেছে ইন্দো-পেসিফিক অঞ্চল। কিছু দেশ এর ভুক্তোভুগী। ভারতীয় সেনা সবরকম পরিস্থিতি রুখতে সক্ষম বলে স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন নৌসেনা প্রধান।

এর আগে গত সোমবার ভারতীয় একটি সাবমেরিন পাকিস্তানের জলসীমায় ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেছে বলে দাবি করে দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়। এক টুইট বার্তায় ইমরান প্রশাসন দাবি করে, ‘ভারতীয় একটি সাবমেরিন পাকিস্তানের জলসীমায় ঢুকে পড়ার চেষ্টা করলে পাকিস্তান নৌবাহিনীর সদস্যরা তা প্রতিহত করেন। তবে পাকিস্তানি নৌসেনা ওই সাবমেরিনটি ‘টার্গেট’ করেনি। পাকিস্তান সরকারের শান্তির পথে পদক্ষেপের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

তবে কোনো ভারতীয় সাবমেরিন পাকিস্তানি জলসীমায় প্রবেশের চেষ্টা করেছিল, তা স্পষ্ট করা হয়নি ওই টুইট বার্তায়।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় দেশটির আধা সামরিক সিআরপিএফের গাড়িবহরে আত্মঘাতী হামলায় ৪৬ জওয়ান নিহত হন। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদ এ হামলার দায় স্বীকার করে। এর পর থেকেই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়।

এ ঘটনার ১২ দিন পর গত মঙ্গলবার ভোরে পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বালাকোটে বিমান হামলা চালায় ভারত। এর পরদিন দুই দেশের সেনাদের মধ্যে কাশ্মীর সীমান্তে গোলা ও গুলিবিনিময় হয়। আকাশযুদ্ধে ভারত হারায় দুটি যুদ্ধবিমান।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *