নেত্রকোনায় সাড়ে ৪ বছর আগের শিশু পরশমণি হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করল পিবিআই

Uncategorized আইন ও আদালত


নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ নেত্রকোণা জেলার মদন থানার কদমশ্রী গ্রামের হাবিবুর রহমানের বড় মেয়ে পরশমনি (৯) ২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল সন্ধায় নিখোঁজ হয়।পরেরদিন ভোর ০৫ টায় কদমশ্রী গ্রামের জনৈক বুলবুল চৌধুরীর বাড়ির সামনের বিলের পাড়ে পরশমনির লাশ উদ্ধার করে মদন থানা পুলিশ।

পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয় যা মদন থানার মামলা নং ১১ তারিখ ১১/০৮/২০১৮, ধারা ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড।

প্রথমে মদন থানা ১ বছরের বেশি সময় তদন্ত করে। পরবর্তীতে মামলাটি সিআইডি নেত্রকোণা তদন্তভার গ্রহণ এবং ১ বছরের অধিক সময় তদন্ত করে। তারা চূড়ান্ত রিপোর্ট সত্য বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করে। বাদীর নারাজীর প্রেক্ষিতে ২৬ নভেম্বর ২০২১ সালে পিবিআই নেত্রকোণা জেলা তদন্তভার গ্রহণ করে।

অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার,বিপিএম (বার), পিপিএম এর সঠিক তত্ত্বাবধানে ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই নেত্রকোণা জেলার ইউনিট ইনচার্জ মোঃ শাহীনুর কবির এর সার্বিক সহযোগিতায় ও তত্ত্বাবধানে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোঃ নুরুল ইসলাম খান মামলাটি তদন্ত করেন।

তদন্তে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামী জোবায়ের (২৩), পিতা মৃত হামিদুর রহমান, গ্রাম কদমশ্রী, থানা—মদন, জেলা নেত্রকোণা কে গত রবিবার ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টা ৫ মিনিটের সময় হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে নেত্রকোণা জেলার সদর থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে জোবায়ের (২৩) পরশমনিকে হত্যার কথা স্বীকার করে। জোবায়ের জানায় যে,১৪ এপ্রিল ২০১৮ সালে কদমশ্রী গ্রামে জনৈক জুয়েলের বাড়িতে শিশু পরশমনি তার ০২ বছরের ছোট ভাইকে নিয়ে খেলতে আসে। তখন জোবায়ের পরশমনির সাথে অনৈতিক কাজ করতে ঝোপের আড়ালে নিয়ে যায়। পরশমনি চিৎকার করতে চাইলে তাকে খুব জোরে গালে থাপ্পড় মারে এবং গলায় চেপে ধরে শ্বাস রোধে হত্যা করে।

পরবর্তীতে পরশমনির পরিবার ও প্রতিবেশীগণ পরশনিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করলে জোবায়েরও তাদের সাথে পরশমনিকে খোঁজাখুঁজির অভিনয় করে এবং রাত ১২ টার দিকে ঝোপের আড়াল থেকে অন্ধকারে লাশ নিয়ে সবার অগোচরে বিলের পাড়ে রেখে আসে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহীনুর কবির আজকের দেশ ডটকম কে জানান যে, এটি একটি চাঞ্চল্যকর এবং ঘৃণ্য হত্যাকান্ড যা ছিল সম্পূর্ণ ক্লুলেস। পিবিআই নেত্রকোণা জেলা তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সরেজমিনে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে নিবিড়ভাবে বিশ্লেষণের মাধ্যমে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রকৃত হত্যাকারী আসামী জোবায়েরকে সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।

আসামী জোবায়েরকে আদালতে সোপর্দ করলে সে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *