নড়াইলে সাংবাদিকদের ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই বিপাকে সর্বরোগের চিকিৎসক খোকন হুজুর ওরফে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক !! বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল !!

Uncategorized আইন ও আদালত


স্টাফ রিপোর্টার : নড়াইল সদর উপজেলা’র আগদিয়া গ্রামের সর্বরোগের চিকিৎসক আঃ রউফ ওরফে খোকন হুজুর নিজের সাফাই গাইতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। (২৩ জানুয়ারি) সোমবার আগদিয়া জামিয়া ইসলামিয়া রউফিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে সার্বিক ভাবে সহায়তা করেন, খোকন হুজুরের পোষা কিছু দালাল তারা নিজেকে অনেক বড় বুদ্ধিমান দাবি করে সাংবাদিকদের সামনে গোল্লা গোল্লা কথা বলতে থাকেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে খোকন হুজুর বলেন, আমি ধর্মীয় সেবা দেয়ার পাশাপাশি আয়ুর্বেদ চিকিৎসা প্রদান করে আসছি। এখানে লিখিত বিবৃতির বক্তব্যের ঘটনার সময় দিয়েছেন বিকালে কিন্তু ঘটনা ঘটেছে বেলা আনুমানিক ১২ টার দিকে, তাহলে বোঝা যায় কত বড় টাউট আর মিথ্যাবাদী।
তিনি বলেছেন, দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকা ভুয়া, দৈনিক ফুলতলা প্রতিদিন পত্রিকা নিবন্ধনহীন। কিন্তু তিনি জানেন না, উল্লেখিত আমার সংবাদ পত্রিকাটি বাংলাদেশ সরকারের চলচিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের ডিএফপি মিডিয়া তালিকাভুক্ত তালিকার ৮ম স্থানে। সেই পত্রিকার লোহাগড়া উপজেলা প্রতিনিধি রইচ উদ্দিন টিপু এবং দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক নওয়াপাড়া পত্রিকা’র রিপোর্টার মো: রফিকুল ইসলামকে অন্য পত্রিকার প্রতিনিধি পরিচয়ে পরিচিত করতে খোকন মুলধারার সাংবাদিকদেরকে কিভাবে ভুয়া সাংবাদিক আখ্যায়িত করলেন, সেটা সাংবাদিক সমাজ প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন?
আর দৈনিক ফুলতলা প্রতিদিন পত্রিকাটি খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে গত ৮ আগস্ট  ২০২২ সালে ডিক্লিয়ারেন্স প্রাপ্ত। সেই পত্রিকাটিকে নিবন্ধনহীন বলে লিখিত ও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য প্রচার করায় রীতিমতো হতবাক পত্রিকাটির সম্পাদকীয় পর্ষদ। এছাড়া সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা এবং পাশে দাঁড়ানো বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজপথের সংগঠন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি নিয়েও উক্ত সংবাদ সম্মেলনে  কথা তোলা হয়। অথচ সংগঠনটি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির নামটি অনুমোদন নেয়া। যারা বিনা শর্তে-বিনা স্বার্থে, বিনা অর্থে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ায়। তাই কথিত ক্ষেপ সাংবাদিকদের মদদে এমন উদ্ভট তথ্য প্রকাশ আর অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।


বিজ্ঞাপন

এদিকে, ভুয়া সর্বরোগের চিকিৎসক লিখিত বক্তব্যে’র সংগে তিনি ৯টি দালিলিক সনদ দিয়েছেন। তার মধ্যে ট্রেড লাইসেন্স টি সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহের দিন অর্থাৎ ঘটনার ৩ দিন পর সংগ্রহ করেছেন। তাই তখনও তিনি অবৈধ ছিলেন প্রমানীত। নিজেকে দুধে ধোঁয়া তুলশিপাতা প্রমাণ করতে চাওয়া চেয়ারম্যান কর্তৃক যে প্রত্যায়ন দিয়েছে সেই প্রত্যায়নে কোন তারিখ লিপিবদ্ধ নাই। যা সাংবাদিকদের নজরে এসে প্রশ্ন করায় হ-য-ব-র-ল অবস্থা হয় আব্দুর রউফ ওরফে খোকন হুজুরের।
ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক ড্রাগ লাইসেন্স ইস্যুর তারিখ ১৮-২-১৪ দেখানো হয়েছে যে ড্রাগ লাইসেন্স মেয়াদ উল্লেখ ০২ বছর। তারিখও ২টি। তাহলে তার ড্রাগ লাইসেন্সে কি বৈধতা আছে প্রশাসের নিকট প্রশ্ন সাংবাদিক সমাজের।
সার্টিফিকেট আর সনদগুলোর অবস্থা ভয়াবহ আর কাটাছেড়া হাতে লেখা। সনদ গুলোতে নামের বানানে কোথাও রউপ আবার কোথাও রউফ লেখা। কোথাও সার্টিফিকেটে আমি লেখা। যেন তিনি নিজের সার্টিফিকেট নিজে লিখেছেন মনে হচ্ছে আজব প্রাণীর আজব সব প্রমাণ।


বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ বোর্ড অব ইউনানী এন্ড আর্য়ুবেদিক সিষ্টেমে অব মেডিসিন যে সনদটি দিয়েছেন, সেখানে ১৫ নভেম্বর ২০০৯ এর একটি তারিখ উল্লেখিত সীল দেওয়া কিন্ত তারই নীচের অংশে হাতে লেখা ১৪-১১-২০১৯ /১৪-১১-২০২৯। সেখানে নিবন্ধকের স্বাক্ষর শুন্য।
বাংলাদেশ দেশীয় চিকিৎসক সমিতির সনদটির তারিখ ও কাটা ছেড়া। কামিল পাশের সনদে কোন প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ নাই। লেখা আছে আলিয়া মাদ্রাসা।
লিখিত বক্তব্য পড়তে না পারা আর মিথ্যা বলতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে হিমসিম খাওয়া খোকন কে মঞ্চে বসে শিখিয়ে দেয় এলাকার কথিত ক্ষেপ মারা সাংবাদিক এইচ এম সিরাজ আর আর তার পাশে দাঁড়িয়ে সরকার কর্তৃক নিবন্ধনকৃত পত্রিকাকে অনিবন্ধিত বলে প্রচার করে তার ছেলে আহসান উল্লাহ বিপ্লব। একটি সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিক পেটানো সর্বরোগের চিকিৎসকের সাথে মঞ্চে বসে শিখিয়ে দেয়া এবং বাপ-বেটার এমন কর্মকন্ডে সাংবাদিকদের রুচিবোধের বিরুপ উপস্থাপন বলে উল্লেখ করেছেন সাংবাদিক সমাজ। (তথ্য প্রমাণ রয়েছে পরবর্তীতে আরো প্রকাশ করা হবে)

অন্যদিকে পর্যালোচনায় দেখা যায়, কথিত সর্বরোগের চিকিৎসক খোকনের সনদগুলি নিয়ে শুধু সন্দেহ নয়; তিনি সব জায়গায় সদস্য তো হলেন। কিন্তু কোন সার্টিফিকেট বা চিকিৎসক সম্পর্কিত সনদে সদস্য হয়েছেন তা কোথাও দেখানো হয়নি। বরং সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেন নাই এই খোকন হুজুর। সিসি টিভি ফুটেজ দিতে ও রাজি হয়নি সাংবাদিকদের। এক কথায় ধুম্রজালে বন্দী ও অন্ধকারাচ্ছান্ন সাংবাদিক সমাজ ও জেলার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

বিরায়নী, ডিম, গোস্ত ও নগত টাকা দিয়ে স্থানীয় কতিপয় কিছু লোভী মানুষদের ম্যানেজ করে সাংবাদিক সম্মেলনে ডেকে এনেছে এই খোকন হুজুর। কিন্তু স্থানীয় কোন সম্মানীয় লোক এই প্রতারক হুজুরের ডাকে আসেনি বলে দেখা দেখা যায়। সাংবাদিকরা সকল দপ্তরে তদন্ত করছে। যাচাই-বাছাই শেষে বিস্তারিত আগামীতে প্রকাশ করা হবে। (চলবে)


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *