তিন সিটি নির্বাচন
বিশেষ প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এ ৩ সিটি নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। আর বিএনপির অংশগ্রহণকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ।
ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল। ৩ সিটিরই জন প্রতিনিধিদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। আইন বলছে, ঢাকার দুই সিটিতে ভোটের আয়োজন করতে হবে এ বছরের নভেম্বর থেকে আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে। আর চট্টগ্রাম সিটিতে ভোট হতে হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে।
৩ সিটি নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচনী সামগ্রীর পরিমাণ নির্ধারণ এবং সীমানা জটিলতা সম্পর্কে তথ্য নেওয়াসহ আনুষঙ্গিক কাজে এরইমধ্যে হাত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, আগে থেকে যদি প্রস্তুতি না নেওয়া যায় তাহলে সিডিউল ঘোষণার পর যে সময় থাকে তার মধ্যে এগুলো সমাধান করা সম্ভব হয় না। এসব প্রস্তুতি শেষ করেই ভোটের দিনক্ষণ নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা শুরু হবে বলে জানান তিনি।
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ১৮০ দিনের মধ্যে যাতে নির্বাচন করা যায় তার জন্য কমিশন বসে একটা সিদ্ধান্ত নেবে। তারিখ নির্ধারণ করে আমরা নির্বাচন করতে পারি। ৩ সিটিতেই ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর থেকে এ যাবত অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকারের প্রায় সবগুলো নির্বাচনই বর্জন করেছে বিএনপি। তবে ৩ সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত রয়েছে দলটির।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। পরিবেশটা যদি স্থিতিশীল হয় তাহলে আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই। বাংলাদেশে বিএনপির মতো দলকে কোনো নির্বাচনের প্রস্তুতির দরকার নেই। শুধু জনগণ ভোটটা দিতে পারবে-এটাই নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
বিএনপির অংশগ্রহণকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের আটঘাট বেঁধে মাঠে নামার নির্দেশ দিয়েছে আওয়াম লীগ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সামনে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এ নির্বাচনে জিততে হবে। গতবার প্রতিপক্ষ ছিল না বলে আপনারা বিষয়টি বুঝতে পারেননি। ভেবেছেন জেতাটা সহজ হয়ে গেছে। এবারকার নির্বাচন খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে, আমাদের প্রতিপক্ষরাও আটঘাট বেঁধে নামবে।