বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের পৃথক অভিযানে ২,০৫,১২০ পিস ইয়াবা সহ ১ জন আটক

Uncategorized আইন ও আদালত


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র অভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) তার দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ২,০৫,১২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন মাদক কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৫ হতে আনুমানিক ৪০০ মিটার দক্ষিণে আলুগোলা নামক এলাকার লবণ মাঠ দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সাবরাং বিওপি হতে একটি চোরাচালান দমন টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে লবণ মাঠের আইলের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পর টহলদল ২/৩ জন ব্যক্তিকে নাফ নদী পার হয়ে বেড়ীবাঁধ অতিক্রম করে লবণ মাঠের দিকে আসতে দেখে টহলদল উক্ত ব্যক্তিদের চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত তাদের দিকে অগ্রসর হয়।

তারা দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই তাদের কাছে থাকা ৪টি প্লাষ্টিকের পোটলা ফেলে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে বিস্তীর্ণ লবণ মাঠে পালিয়ে যায়। টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে প্লাষ্টিকের পোটলা উদ্ধার করে তার ভিতর হতে ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে। কোন পাচারকারী কিংবা তাদের সহযোগীদের আটক করা সম্ভব হয়নি।

উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিদের পাওয়া যায়নি বিধায় চোরাকারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

অপরদিকে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের দমদমিয়া বিওপি’র একটি টহলদল দমদমিয়া চেকপোস্টে নিয়মিত যানবাহন তল্লাশী কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এসময় টেকনাফ হতে কক্সবাজারগামী একটি সিএনজি চেকপোস্টে আসলে তা তল্লাশীর জন্য থামানো হয়।

পরবর্তীতে বিজিবি কে-নাইন এর বিজিডি-১০৬২ সিপাহী ডগ এমি (জার্মান শেফার্ড) ও হ্যান্ডেলার যথারীতি উক্ত সিএনজিটি তল্লাশী শুরু করলে ডগ এমি একজন যাত্রীর হাতে এবং তার গায়ে পরিহিত জামায় ক্রমাগত ঘ্রান নিতে থাকে এবং সন্দেহমূলক আচরণ প্রকাশ করে। পরবর্তীতে ডগ হ্যান্ডেলার এবং কর্তব্যরত সৈনিক দ্বারা বর্ণিত যাত্রীর শরীরে পরিহিত জ্যাকেটের ভিতর অভিনব পদ্ধতিতে লুকায়িত অবস্থায় ২,২২০ (দুই হাজার দুইশত বিশ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও আটককৃত মাদক পাচারকারী জানে আলম (১৯), পিতা-রহমত উল্লাহ, মাতা-মোছা হাসিনা বেগম, ২৪ নম্বর লেদা এফডিএমএন ক্যাম্প, ব্লক-ই/৫০, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার এর নিকট হতে ১টি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়। উল্লেখ্য, আটককৃত মাদক কারবারীকে (এফডিএমএন) জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট এবং মোবাইল ফোনসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়াও টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ হোয়াইক্যং বিওপি’র একটি টহলদল হোয়াইক্যং চেকপোস্টে নিয়মিত তল্লাশী কার্যক্রম পরিচালনা করার সময় টেকনাফ হতে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহণের একটি বাস চেকপোস্টে আসলে তা তল্লাশীর জন্য থামায়।

পরবর্তীতে বাসটি তল্লাশী করে পিছনের সীটের নীচে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা একটি ব্যাগের ভিতর হতে ২,৯০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য, বর্ণিত সিটের আশেপাশে কোন যাত্রী না থাকায় চোরাকারবারীকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *