কুটনৈতিক প্রতিবেদক ঃ গতকাল বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি ইউএস কংগ্রেসম্যান এবং হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির র্যাঙ্কিং মেম্বার এইচ.ই. মিঃ গ্রেগরি মিক্স এর সাথে নিউ ইয়র্কে এক বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, এই ঊর্ধ্বমুখী উন্নয়নের ধারার জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক
অঙ্গনে প্রশংসিত হচ্ছে।
অনেক অপ্রয়োজনীয় সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় কংগ্রেসম্যানের যথাযথ মনোযোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন।
কংগ্রেসম্যান মিকস বাংলাদেশকে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে উল্লেখ করে আশা প্রকাশ করেন যে ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনসংখ্যার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো রাজনৈতিক ও মানবিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে, মিয়ানমারের উপর আরও চাপ প্রয়োগের জন্য মার্কিন আইন প্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানান যাতে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন করা যায়।
কংগ্রেসম্যান মিক্স নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে এ ব্যাপারে তার দেশের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন।
জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত পলাতক খুনি রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী কংগ্রেসম্যানের সহায়তা চেয়েছেন।
তিনি র্যাবের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য মার্কিন প্রশাসনের সাথে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ইচ্ছুকতাও ব্যক্ত করেন, উল্লেখ করেন যে র্যাব বাংলাদেশে সন্ত্রাস, মাদক পাচার এবং মানব পাচার দমনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
উভয় পক্ষ বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও আলোচনা করেছেন। মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের দৃঢ় সংকল্পের ওপর জোর দেন।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতির সংগ্রামের সেই গৌরবময় ইতিহাসের কথা স্মরণ করে জোর দিয়ে বলেন, ক্ষমতাসীন দল তা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কংগ্রেসম্যান মিক্সকে অদূর ভবিষ্যতে তার সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, যার প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেসম্যান শীঘ্রই বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
