সামরিক বিশ্লেষক : পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম চুরি করে/নকল করে সেই ইউনিফর্ম পরে পাহাড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েক করছে।
কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পাহাড়ের নিরিহ গ্রামবাসীদের ঘর বাড়িতে আগুন দিয়ে সেটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ বলে গুজব রটিয়েছে। শুধু তাই নয়, গ্রামবাসীদের পোষা জ*ন্তু জা*নোয়ার ও জিনিসপত্র লুটপাট করা, ধর্ষণ করা, অপহরণ করার মতো জঘন্য কাজ করে তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপর চাপিয়ে দিচ্ছে।
সমতলের কিছু সুশীল আবার কুকি চিনের সাথে গলা মিলিয়ে কথা বলে বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। গত কিছুদিন আগে পাহাড়িদের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতু বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে কুকি চিন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
দুদিন আগে পাহাড়িদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে যাওয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দলটির উপর অতর্কিত আক্রমণ করে সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তাকে হত্যা করে।
এতকিছুর পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যখন তাদের নির্মুল করার অভিযানে নেমেছে আর তখনই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সেনাবাহিনীর নামে অপপ্রচার করছে।
সবার জেনা রাখা উচিত, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক যুদ্ধনীতি অনুসরণ করে এবং যেকোন মূল্যে কোলাটেরাল ড্যামেজ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
তারা কখনোই কোন গ্রামে অগ্নিসংযোগ করে না, তবে নিরাপত্তার জন্য শুধুমাত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানা, রসদ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এটাও জেনে রাখেন, স্থানীয় পাহাড়িদের সহায়তা ছাড়া এধরনের অপারেশন অনেক দুরুহ।
সেনাবাহিনী পাহাড়ে নিয়মিত মেডিক্যাল কাম্প করে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে, দুর্যোগে পাশে থেকে সাহায্য করেছে, পাহাড়ে পানি সংকটে শত কিলোমিটার দুর থেকে পানি সরবরাহ করেছে। স্কুল নির্মান করে তাদের ভাষায় পাঠদানের ব্যবস্থা করেছে। সারা বছরই অপারেশন উত্তোরনের আওতায় ২৪ পদাতিক ডিভিশনের হাত ধরে নানাবিধ সহায়তা ও সম্পর্ক উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে।
কাজেই সেনাবাহিনী ও পাহাড়িদের সম্পর্কে চিড় ধরানোর জন্য, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যে অপপ্রচার করছে সবাই এই অপপ্রচার রুখে দিন।
ছবিটি কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের, যারা সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম চুরি করেছে। (তথ্য সূত্র : ডিফেন্স রিসার্চ ফোরাম)