নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারের সাম্প্রতিক শুদ্ধি অভিযান দেশের সর্ব মহলে যেমন আলোচিত তেমন প্রশংশিত হচ্ছে। ব্যাপক তদন্তের মাধ্যমে চুনোপুটি থেকে রাঘব বোয়াল কেউই ছাড় পাচ্ছে না। ক্যাসিনো, জুয়া, ইয়াবা, টেন্ডারবাজি, অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে। সরকার যখন তার নিজ ঘর থেকে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করছে তখন দেখা যাচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরাই বড় বড় অপরাধের সাথে যুক্ত। ফ্রিডম পার্টির নেতা ফ্রিডম মিলনের ছোট ভাই ক্যাসিনো তুহিন খালেদ মাহমুদ ভূইয়ার হাত ধরে আওয়ামী যুবলীগে প্রবেশ করে। খালেদ মাহমুদ ভূইয়ার শিষ্য হয়ে তুহিন যুক্ত হয় ক্যাসিনো ব্যবসায়। খালেদের পৃষ্ঠপোষকতায় ক্যাসিনো তুহিন ১২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হয়। গত কয়েক বছরে তুহিন ক্যাসিনোা খালেদের ছত্রছায়ায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের যাবতীয় টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
তুহিন ক্রীড়া পরিষদের ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে। ক্রীড়া পরিষদের যাবতীয় কাজ তাকে দিতে হবে অথবা অন্য কেউ কাজ করলে তুহিনকে চাঁদা দিতে হবে।
তুহিন ও তার গুরু খালেদের নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান কেটি এন্টারপ্রাইজ এবং কেটি হোমস ক্রীড়া পরিষদের সমস্ত কাজের টেন্ডার পেতো। অন্যদিকে তুহিনের ক্যাসিনো বাণিজ্য গড়ে ওঠে ভিক্টোরিয়া ক্লাবকে কেন্দ্র করে ঐ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তুহিন। ঐ ক্লাবে ক্যাসিনো জুয়ার আসর থেকে তুহিন প্রতি রাতে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা পেতো।
গ্রেফতার হওয়া যুবলীগ নেতা খালেদের ছাত্রছায়ায় তুহিন নিয়ন্ত্রণ করতো পিডাব্লিউডি এর ইমডিভিশন, রাজউক ও রেলওয়ের যাবতীয় টেন্ডারের কাজ। গুলবাগ মালিবাগ এলাকায় রিয়েল স্টেট কোম্পানীর প্রতি কাজে কোটি টাকা চাঁদা দাবি করত তুহিন।
মালিবাগের চিহ্নত ছিনতাইকারী রমজানকে সাথে নিয়ে সে মালিবাগ বাজারে জুয়া, মদ এবং মাদক দ্রব্যের আস্তানা গড়েছিল। কোটি কোটি টাকা, ফ্ল্যাটসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী তুহিন ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ার প্রচারনা শুরু করেছিল। শুদ্ধি অভিযানে খালেদ মাহমুদ ভূইয়া গ্রেফতার হওয়ার পর বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খালেদের সহযোগী ক্যাসিনো তুহিনের নাম প্রকাশিত হলে তুহিন আত্মগোপনে চলে যায়।