নীলফামারীতে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের পরিচয়ে সাংবাদিকের উপর হামলা

Uncategorized অন্যান্য


নীলফামারী প্রতিনিধি ঃ নীলফামারীর ডোমারে সত্যেন্দ্রনাথ রায় নামের এক সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর করেছে তারা ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের পরিচয়দানকারী ১৫/১৬ জনের একটি সন্ত্রাসী দল। সন্ত্রাসীদের মারধরে সাংবাদিক সত্যেন্দ্রনাথ রায় অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে দ্রæত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেয়।
সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা পর তার জ্ঞান ফিরে।
সাংবাদিক সত্যেন্দ্রনাথ রায় দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার ডোমার উপজেলা প্রতিনিধি ও হরিণচড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সুরেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে।
ঘটনাটি গতকাল বুধবার ১২ এপ্রিল, দিবাগত রাত বারোটায় দিকে উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান’র কক্ষে ঘটে।

হরিণচড়া ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল রানা জানান, বুধবার সন্ধ্যা হতে রাত পর্যন্ত ইউপি কার্যালয়ে সদস্যদের নিয়ে ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফ এর কার্ড বিতরনের মিটিং চলছিল। মিটিং চলাকালীন সময়ে অত্র ইউনিয়নের কয়েকজন লোক আমার সাথে দেখা ও কথা বলতে চাইলে, আমি তাদের বসতে ও কথা বলি। তাদের সাথে কথা বলার সময় তারা আমার কাছে ঈদ উপলক্ষে চাঁদা ও সাড়ে তিনশত ভিজিএফ এর কার্ড দাবী করে।

আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে চাঁদা দাবীকারী হরিণচড়া ইউনিয়নের বিধু মুখোপাধ্যায় এর ছেলে দুলাল মুখোপাধ্যায়, দিলীপ মুখোপাধ্যায়, নিধি কৃস্ট’র ছেলে নিরঞ্জন রায়,রমেশ চন্দ্রের ছেলে রামকৃষ্ণ রায়,মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে জাকারুল ইসলাম দুখু,মৃত মজর উদ্দিনের ছেলে বাবুল আলম ধউলা, খিরোদ,মকবুল,ধীমানসহ অজ্ঞাত ১৫/১৬ জনের একটি দল নিজেদের ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের পরিচয় দিয়ে আমাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে হট্টগোল শুরু করে দেয়। সেসময় স্থানীয় সাংবাদিক সত্যেন্দ্রনাথ রায় আমার কার্যালয়ে প্রবেশ করে ও কি হয়েছে জানতে চায়। সাংবাদিক কারন জানতে চাওয়ায়,দুলাল মুখোপাধ্যায় ও নিরঞ্জন রায় সঙ্গীয় ১৫/১৬জন সত্যেন্দ্রনাথ রায়ের উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে সে অচেতন হয়ে পড়লেও দুলাল, দিলীপ, নিরঞ্জন পা’দিয়ে লাথি মারতে থাকে।

পরে স্থানীয় জনগন টের পেয়ে তাদেরকে প্রতিরোধ করে ও সত্যেন্দ্রনাথ রায়কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী পল্লী চিকিৎসক ধরনীকান্ত রায় জানান, দুলাল, দিলীপ, নিরঞ্জনের দলটি সত্যেন্দ্রনাথ রায়কে বেধড়ক মারধর করে অচেতন করে রাখে। এব্যাপারে ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ মাহমুদ উন নবী জানান লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *