খুরশেদের চাঁদাবাজি’তে অতিষ্ট স্থানীয় সাধারণ জনগন!

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত চট্টগ্রাম সারাদেশ

মারুফ সরকার :  চট্টগ্রাম হাটহাজারী থানার মাদার্শা ও বুডিশ্চর ইউনিয়নের প্রবাসী ও সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে, তথাকথিত পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারী খোরশেদ। পুলিশ দিয়ে জমি দখল, বিভিন্ন মামলা নিষ্পত্তি কথা বলে টাকা আদায়ের অভিযোগ আছে  তার বিরুদ্ধে। প্রতারক খোরশেদ কখনো পুলিশের সোর্স কখনো উদ্ধর্তন পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে করছে এসব চাঁদাবাজি করছে।


বিজ্ঞাপন

মাদার্শা সি ওয়ার্ডে পুলিশকে দিয়ে দুই প্রবাসীর কাছ থেকে জমি দখলের নাম করে হাতিয়ে নেয় এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। জমি দখল না দেয়ায় ঐ প্রবাসী টাকা ফেরত চাইলে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে দেয়ার ভয়ভীতি দেখায় খোরশেদ।  প্রতারণার দায়ে খোরশেদ জেলে যায় দু’বার। ২৬ লক্ষ টাকা চেকের মামলায় ৪ মাস জেলে ছিল খোরশেদ।  জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবার শুরু করে তার প্রতারণা। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে।


বিজ্ঞাপন

এই বিষয়ে খোরশেদকে প্রশ্ন করা হলে  উত্তরে বলেন, মদুনাঘাট তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জসহ উধ্বর্তন কর্তাদের দিয়ে তো  আমাকে চলতে হয়।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মদুনাঘাট বাজারের এক ব্যবসায়ী ও এক স্কুল শিক্ষক বলেন, খোরশেদ মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা নেয়। আর ঐ টাকার ভাগ ফাড়ির দুই কর্মকর্তা পাই।

এছাড়াও মাদার্শা ব্রাক্ষণহাট, বুড়িশ্চর,  নেয়ামত আলী রোড় এলাকার দিন দিন বেড়েই চলেছে মাদকাসক্তের সংখ্যা।দুয়েকজন অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার যোগসাজশে মাদক কারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে জানান তারা। যার ফলে যুবসমাজ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।

এই নিয়ে অভিভাবকরা পড়েছে দুশ্চিন্তায়। চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। আমরা চিহ্নিত মাদককারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে থাকে।

কোন পুলিশ সদস্য মাদকব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের প্রশ্রয় দেয়ার প্রমান পেলে ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।  সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় না আনলে এলাকার যুবসমাজ দিন দিন মাদকাসক্ত হয়ে পড়বে।

পুলিশের সোর্সদেরও বিশেষ সুবিধা না দেয়ার অনুরোধ করেন এই জনপ্রতিনিধি। সোর্স খোরশেদের দৌরাত্ব ও ক্ষমতার অপব্যবহার বিষয়ে হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন, সোর্স যা ইচ্ছে তা করার সুযোগ নেই। অভিযোগগুলো প্রমানিত হলে খোরশেদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। খোরশেদ ও মিয়া মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটা সিন্ডিকেট তৈরী করেছে।

মিয়া স্ক্র্যাপ ব্যবসা ও সিএনজি চালানোর আড়ালে চালায় তার মাদকের অবৈধ ব্যবসা। টেকনাফের মাদক ব্যবসায়ী মোনাফ ও রহিম বেপারীর কাছ থেকে ইয়াবা কেনা-বেচা করে বলে জানান স্থানীয়রা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *