২৮ কোটি টাকায় বাংলাদেশে খেলতে রাজি ম্যানইউ

আন্তর্জাতিক এইমাত্র খেলাধুলা

আজকের দেশ ডেস্ক


বিজ্ঞাপন

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল জানিয়েছেন, জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে আগামী বছরের ২৩ অথবা ৩০ জুলাই বাংলাদেশে খেলতে আসতে চায় ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

এর আগে বাংলাদেশ সফররত ক্লাবটির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু চ্যালেঞ্জ কাপ’ আয়োজনের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ৩ মিলিয়ন ইউরো চেয়েছে ইংলিশ ক্লাবটি। টাকায় যে অঙ্ক ২৮ কোটি ২ লাখ টাকার মতো।

ম্যানইউ’র ঢাকায় আসার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।

গত রোববার তিনি জানিয়েছিলেন, আগামী জুন মাসে ক্লাবটি বাংলাদেশে আসতে চায়। তারই অংশ হিসেবে আজ ক্লাবটির একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসে। প্রতিনিধি দল যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জানিয়েছে, তারা আগামী বছরের ২৩ অথবা ৩০ জুলাই বাংলাদেশে আসতে চায়।

তবে প্রীতি ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ দল কারা হবে সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ইউরোপেরই নামী কোনো ক্লাবকে তাদের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলার জন্য আনতে চায় বাফুফে।

আবু নাঈম সোহাগ জানিয়েছিলেন, ম্যানইউ’র প্রতিপক্ষ হিসেবে আসতে পারে নেইমার, এমবাপ্পেদের ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেই কিংবা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর য়্যুভেন্তাস। লিওনেল মেসির বার্সেলোনাও আছে বাফুফের ভাবনায়।

২০২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মগ্রহণের শততম বছর পূর্ণ হবে। বছরটিকে মুজিব বর্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত মুজিব বর্ষ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মুজিব বর্ষ উপলক্ষ ক্রীড়াঙ্গনে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পরিকল্পনা। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বেশ কিছু প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। সেজন্য ফেডারেশনগুলো থেকে কর্মপরিকল্পনা ও বাজেট দেয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে প্রণয়ন করা হয়েছে ক্রীড়া ক্যালেন্ডারও।

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষে ৩৬টি আন্তর্জাতিক এবং ৪৮টি জাতীয় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। থাকবে অন্যান্য অনুষ্ঠানও। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, কাবাডি, হ্যান্ডবল ও শুটিংকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) বঙ্গবন্ধুর নামে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে। টুর্নামেন্ট তিনটি হলো বঙ্গবন্ধু সাফ ফুটবল, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ এবং বঙ্গবন্ধু অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল।

১—-
বিদেশি ঋণের অর্থ ছাড়ে ধীরগতি
বিশেষ প্রতিবেদক : দাতাদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়ের বড় লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে অর্থবছর শুরু হলেও প্রথম চার মাসে ছাড়ের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় কমেছে।
জুলাই-অক্টোবর সময়ে বিদেশি ঋণ সহায়তার ১৪৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার ছাড় হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪৫ কোটি ২৪ লাখ ডলার।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালানাগাদ প্রতিবেদনে তুলে ধরা এ হিসাব অনুযায়ী, এই চার মাসে বিদেশি ঋণের অর্থ ছাড়ের পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে এক কোটি ৮৭ লাখ ডলার কমেছে।
অর্থছাড় কমে আসা ও পরিশোধ বেড়ে যাওয়ায় চলতি বছর নিট সহায়তা প্রায় সাড়ে ১৪ শতাংশ কমেছে।
সুদ আর আসল বাদ দিয়ে বছরের প্রথম চার মাসে বিদেশি ঋণের নীট অর্থছাড় হয়েছে ৮০ কোটি ২৫ লাখ ডলার, যা আগের বছর ছিল ৯২ কোটি ৮২ লাখ ডলার।
এই চার মাসে দাতাদের পাওনা পরিশোধ করতে হয়েছে ৬৩ কোটি ১২ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময় ছিল ৫২ কোটি ৪২ লাখ ডলার।
ইআরডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বৈদেশিক সহায়তার নতুন প্রতিশ্রুতিও ৩৯ শতাংশ কমেছে।
এবিষয়ে ইআরডির বৈদেশিক সহায়তা বাজেট ও হিসাব (ফাবা) শাখার অতিরিক্ত সচিব ড. পিয়ার মোহাম্মদ বলেন, অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নের কিছু প্রকৃতি থাকে। যেমন বড় একটা ইউনিটের কাজ চলছে। ওই ইউনিট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থ ছাড় হয় না।
গত অর্থবছরে বৈদিশক সহায়তার মোট অর্থ ছাড় হয়েছিল ৬২১ কোটি ৭ লাখ ডলার। তার সঙ্গে ২২৬ কোটি ৬২ লাখ ডলার বাড়িয়ে চলতি অর্থবছরের জন্য ৮৪৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ইআরডি।
এডিপি বাস্তবায়নের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বৈদেশিক ঋণের মধ্যে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৭ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের মাত্র ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় হয়েছিল ৮ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা বা প্রায় ১৪ শতাংশ।
এবিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি শাখার সচিব আবুল মন্সুর মো. ফয়জুল্লাহ বলেন, বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দাতাদের কিছু শর্ত মেনে বাস্তায়ন করতে হয়। তাই শর্তের জালে অনেক সময় অর্থছাড় কিছু দিনের জন্য আটকে যায়।
আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কাজ হয়ে গেছে কিন্তু অর্থছাড় হয়নি। তবে সময়ের সাথে দাতাদের অর্থছাড়ও বেড়ে যাবে।
ইআরডি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই চার মাসে বিদেশি ঋণ পরিশোধে ৬৩ কোটি ১২ লাখ ডলার ব্যয় হয়েছে, যার মধ্যে আসল ৪৬ কোটি ৩২ লাখ ডলার ও সুদ ১৬ কোটি ৭৯ লাখ ডলার।
গত অর্থবছরের একই সময়ে ৩৯ কোটি ২৩ লাখ ডলার আসল ও ১৩ কোটি ১৯ লাখ ডলার সুদ মিলে বিদেশি ঋণ পরিশোধ বাবদ ব্যয় ছিল ৫২ কোটি ৪২ লাখ ডলার।
বিদেশি ঋণ সহায়তার নতুন প্রতিশ্রুতির পরিমাণও গতবারের একই সময়ের চেয়ে কমেছে। অক্টোবর পর্যন্ত ঋণ ও অনুদান মিলে মোট ২২২ কোটি ২৭ লাখ ডলারের নতুন চুক্তি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩৬১ কোটি ডলার।

 


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *