নিজস্ব প্রতিবেদক : বৃহস্পতিবার ৮ জুন, আধুনিক সব ফিচারসহ বাজেটের মধ্যে নতুন স্মার্টফোন বাজারে এনেছে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। হট ৩০ আই নামের ফোনটির মূল্য ধরা হয়েছে মাত্র ১২ হাজার টাকা। হট ৩০ সিরিজের নতুন এই ফোনে স্মুদ ডিসপ্লে, উচ্চগতির প্রসেসর আর স্বচ্ছ ক্যামেরাসহ প্রায় সবই রাখা হয়েছে।
হট ৩০ আই ফোনটিতে আছে ৬.৬ ইঞ্চির বিশাল এইচডি স্কিন। এতে ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেট থাকার ফলে ডিসপ্লে ব্যবহারে স্পুন ও ফ্লুইড অভিজ্ঞতার নিশ্চয়তা দিচ্ছে ইনফিনিক্স। একইসাথে, ফোনটিতে টাচ সেম্পিং রেট দেওয়া হয়েছে ১২০ হার্জ। ফলে ডিসপ্লেতে টাচ করে দ্রুত রেপন্স পাবেন ব্যবহারকারীরা। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স আর কার্যকরিতা দিতে মিডিয়াটেকের উন্নত ১২ ন্যানোমিটার হেলিও জি ৩৭ প্রসেসরে চলবে হট ৩০ আই। সাথে থাকছে ৪জিবি+৬৪জিবি স্টোরেজ সক্ষমতা। চিপ নির্মাতা কোম্পানি মিডিয়াটেকের মতে, জি ৩৭
হলো কম বাজেটের ফোনের জন্য গেমিং প্রসেসর। এই প্রসেসর সবচেয়ে ভালো কাজ করে ৯০ হার্জ ডিসপ্লে ব্যবহার করা ফোনে।
নিখুঁত ও প্রাণবস্তু ছবি তোলার জন্য হট ৩০ আই-তে আছে ৫০ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা এবং সুন্দর সেলফির জন্য আছে পাঁচ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। প্রিয় মুহূর্তগুলোকে ধরে রাখতে এই ক্যামেরার মাধ্যমে হাই- রেজ্যুলেশনের ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
দীর্ঘ সময় ধরে প্রয়োজনীয় ও পছন্দের কাজগুলো স্মার্টফোনে করতে পারার জন্য হট ৩০ আই-তে আছে ৫০০০ এমএএইচ এর ব্যাটারি। সেইসাথে, চার্জ নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকার জন্য আছে ১০ ওয়াটের টাইপ-সি চার্জিং সুবিধা।
কোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এতে আছে সাইড মাউন্টেড ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রযুক্তি। সাথে আছে ফোনটির আকর্ষণীয় কালার অপশন এবং ডায়মন্ড প্যাটার্নের অনন্য প্লাস্টিক ডিজাইন। ফলে ফোন হাতে রাখার সময় স্বস্তি পাওয়ার সাথেস্টাইলও বজায় থাকবে। গ্লেসিয়ার ব্লু, মিরর ব্ল্যাক ও ডায়মন্ড হোয়াইট, এই তিনটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে হট ৩০ আই। ফোনটির আরও দুটি ভার্সন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ৪জিবি ১২৮জিবি এবং ৮জিবি+১২৮জিবি ভার্সন দুটোর দাম ধরা হয়েছে যথাক্রমে ১৩,৪৯৯ এবং ১৪,৯৯৯ টাকা।
ইনফিনিক্স মোবিলিটি একটি উদীয়মান প্রযুক্তি ব্র্যান্ড। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডের আওতায় বিশ্বজুড়ে অনেক ধরনের ডিভাইস ডিজাইন, প্রস্তুত ও বাজারজাত করে থাকে কোম্পানিটি। আজকের তরুণদের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল ডিভাইস প্রস্তুত করা তাদের মূল লক্ষ্য। এই ফোনগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য চমৎকার স্টাইল, পাওয়ার ও পারফরম্যান্স। ইনফিনিক্সের ট্রেন্ডি ডিভাইসগুলো ব্যবহারকারীর প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়।
“ভবিষ্যৎ আমাদের হাতের মুঠোয় (দ্য ফিউচার ইজ নাও)” মূলমন্ত্র নিয়ে ইনফিনিক্স আজকের তরুণদের স্বকীয়তা তুলে ধরার জন্য অনুপ্রাণিত করতে চায়। আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৪০টির বেশি দেশে এই কোম্পানির পণ্য বিক্রি করা হয়। বিস্ময়কর গতিতে বিস্তার ঘটছে ইনফিনিক্সের। ২০১৯-২০২১ সালে কোম্পানিটির অভূতপূর্ব ১৫৭% প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। চমকপ্রদ ডিজাইন ও দারুন মানের ফ্ল্যাগশিপ লেভেল ডিভাইস প্রস্তুত করা চালিয়ে যাওয়ার বড় পরিকল্পনাও তাদের রয়েছে।