নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়ক-মহাসড়কের আইন উপযোগী অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা না হলে নতুন সড়ক পরিবহন আইনে সুফল মিলবে না বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ সমূহ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এই মন্তব্য করেন।
সভায় বক্তারা বলেন, নতুন সড়ক আইনে বেশ কিছু ইতিবাচক দিক থাকলেও প্রস্তুতি ও প্রচারের অভাবে এই আইন বাস্তবায়ন সরকারের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, মালিক-শ্রমিক ও সর্বস্তরের জনসাধারণের আন্তরিক সহযোগীতা পেলেই কেবল এই আইন বাস্তবায়ন সম্ভব। কেননা যানজট ও দুর্ঘটনায় আমরা সকলেই ক্ষতিগ্রস্থ। পুরোনো আইনের মতো নতুন আইনেও যাত্রী সাধারণের প্রতিনিধিত্ব না রাখায় মালিক-শ্রমিকরা জনগণকে জিম্মি করলে সরকারের অসহায়ত্ব আরও বেড়ে যাবে বলে অভিযোগ করা হয়।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী সভার ধারণাপত্র পাঠ করেন, এতে বলা হয় দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যা এই পরিবহন সেক্টরে জেঁকে বসেছে। এই সব সমস্যা সমূহ এই আইন বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়াবে। তাই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের সময়োপযোগী ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন জরুরি।
এ সময় তিনি সড়ক আইনের সুফল পেতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির ৯ দফা সুপারিশ ও এই সেক্টরের নি¤œবর্ণিত প্রধানতম চ্যালেঞ্জ সমূহ তুলে ধরেন- নিরাপদ চালক ও ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, ফুটপাত ও পথচারী, অবৈধ পার্কিং, সড়কে চাদাঁবাজি, মহাসড়কে সার্ভিস রোড না থাকা ও নিবন্ধনবিহীন গাড়ি।