৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সত্যটা জানা যাবে: মির্জা ফখরুল

রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সত্যিকার অবস্থা দেশের মানুষ জানতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘৫ ডিসেম্বর আদালত রিপোর্ট চেয়েছেন। সারাদেশের মানুষ প্রত্যাশা করছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সত্য কথাটা বলবেন এই দিন।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি আয়োজিত এক গোলটেবিল সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, তার স্বাস্থ্যের অবস্থা এত ভয়ঙ্কর, এত ভয়াবহ যে এই মুহূর্তে তাকে বের করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা দরকার। গতকাল একজন ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তিনি জানালেন, যে ড্যামেজ তার হচ্ছে, সেটা আর ফিরে আসবে না। তার বাঁ হাত বাঁ সাইটটা প্যারালাইজড। কারও সাহায্য ছাড়া তিনি বিছানা থেকে উঠতে পারেন না। অথচ তাদের সরকারি কর্মকর্তা পিজি’র (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) পরিচালক বলছেন, তিনি ভালো আছেন, আগের চেয়ে এখন ভালো। ধিক্কার দেই আমি জ্ঞানহীন এই মানুষদের। যারা সত্যকে গোপন করে, তাদের এখানে থাকার অধিকার নেই।
বিএনপি কখনও সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গণতান্ত্রিক উপায়ে রাজনীতি করতে চাই। এটা বারবার বলেছি এবং প্রমাণিত হয়েছে। সন্ত্রাসী তো এই সরকার। গত নির্বাচনে তারা সন্ত্রাস করে জনগণের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এখনও সন্ত্রাস করে জোর করে মানুষকে দাবিয়ে রেখে তারা টিকে থাকতে চাচ্ছে।
হাইকোর্টের সামনে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের বিক্ষোভের প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা হুমকি দেওয়া শুরু করেছেন। তারা বলছেন, এ ধরনের কর্মসূচি মেনে নেওয়া হবে না। সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। এই হুমকি-ধামকি দিয়ে তো সারা জীবন চললেন। আওয়ামী লীগ তাদের অতীত ভুলে গেছে। মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী যিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তার নাম তারা একবার উচ্চারণ করে না। একাত্তরের যুদ্ধে যিনি নেতৃত্ব দিলেন প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন, তার নাম নেয় না এখন কেউ। জেনারেল ওসমানী যিনি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন, তার নামও এখন কেউ উচ্চারণ করে না। কেউ উচ্চারণ করলে তার খবর আছে। এটা হচ্ছে এদের মানসিক অবস্থা। কাউকে সহ্য করতে চায় না আওয়ামী লীগ। তাদের মানসিকতার মধ্যে জমিদারি ভাব আছে।
২০ দলীয় জোটের নেতাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, অনেকে বলছেন, প্রেস ক্লাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে বক্তব্য দিয়ে কিছু হবে না। আমি বলছি, আপনারা গ্রামে গ্রামে, হাটবাজারে যান। মানুষকে সম্মিলিত করার চেষ্টা করেন। শুধু বিএনপি’র মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। আপনাদের দায়িত্বটাও পালন করতে হবে।
এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট নিতাই রায় চৌধুরী, জাতীয় পার্টির একাংশের প্রধান মোস্তফা জামান হায়দার, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *