জাবালে নূরের সেই দুই বাসের চালকসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

অপরাধ আইন ও আদালত এইমাত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় বাসের দুই চালক মাসুম বিল্লাহ, জুবায়ের সুমন ও পলাতক হেলপার কাজী আসাদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।


বিজ্ঞাপন

রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে জাবালে নূরের বাসের মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও আরেক হেলপার এনায়েত হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

এর আগে, গত ১৪ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। এদিকে, রুট পারমিট ও গাড়ির নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পরও ভিন্ন নামে ঢাকার রাস্তায় চলছে জাবালে নূর পরিবহনের বাস।

গত বছরের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে নিহত হন শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীম ও আবদুল করিম রাজীব।

দুর্ঘটনার পরপরই সহপাঠীদের মৃত্যুর বিচার চেয়ে রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরা। সে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীজুড়ে। এক পর্যায়ে তা হয়ে দাঁড়ায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর আন্দোলন। সে আন্দোলনে সমর্থন দেন সর্বস্তরের মানুষ।

দুর্ঘটনায় নিহত মীমের বাবা মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। ৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার চার্জশিট জমা দেয়া হয়। ছয় আসামির মধ্যে জাবালে নূরের মালিক জাহাঙ্গীর আলম, দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং তাদের সহকারী এনায়েত হোসেন কারাগারে রয়েছে। আরেক মালিক শাহাদাত হোসেন জামিনে রয়েছে। পলাতক আছেন সহকারী কাজী আসাদ।

এদিকে, দুর্ঘটনার পর জাবালে নূরের রুট পারমিট ও নিবন্ধন বাতিল করলেও নতুন নামে ঢাকার রাস্তায় চলছে বাসগুলো। একে রাষ্ট্রের ব্যর্থতা বলছেন শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এক শিক্ষার্থী বলেন, এটা অবশ্যই ব্যর্থতা। কারণ, নাম পরিবর্তন করে বাসগুলো চলছে এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু কোন পদক্ষেপ আমরা নিতে পারছি না। এখনো পর্যন্ত আমদের জন্য সড়কটা নিরাপদ না।

সড়কে দুর্ঘটনা রোধে সার্বিক ব্যবস্থা নেবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা সবার।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *