নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন নোট সিরিজে বাজারে আনতে যাচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। স্মার্ট ডিভাইসের সাহায্যে বাংলাদেশের তরুণদের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করা ব্র্যান্ডটির নতুন নোট ৩০ সিরিজে থাকবে নোট ৩০ প্রো এবং নোট ৩০ মডেল। এই মডেলগুলোর একটিতে থাকছে ওয়ারলেস চার্জিংয়ের সুবিধা।
গত মার্চ মাসে অল-রাউন্ড চার্জিং প্রযুক্তি বাজারে এনেছে ইনফিনিক্স। নতুন নোট সিরিজে এই ফিচার অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানিয়েছিল ব্র্যান্ডটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, নতুন নোট ৩০ সিরিজে যুক্ত করা হয়েছে অল-রাউন্ড ফার্স্ট চার্জ। যা সব ধরনের আবহাওয়ায় এবং পরিস্থিতিতে ফোনের চার্জিং করবে সম্পূর্ণ নিরাপদ। এই সিরিজে থাকছে ওয়্যারড- ওয়্যারলেস ফার্স্ট ও রিভার্স চার্জিং এবং মাল্টি-প্রটোকল চার্জিংয়ের মতো বিভিন্ন মোডে চার্জিংয়ের সুবিধা।
নোট ৩০ প্রো-তে থাকছে ৬৮ ওয়াট ওয়্যারড এবং ১৫ ওয়াট ওয়্যারলেস ফার্স্ট চার্জ। প্রথমবারের মতো বাজেটের মধ্যে এই ফিচারটি পাওয়া যাবে ফোনটিতে। পাশাপাশি দ্রুত চার্জ করার সুবিধার্থে নোট ৩০ প্রো-তে আছে ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জ সক্ষমতা। তরুণদের বৈচিত্র্যময় চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রতিটি মডেলই তৈরি করা হয়েছে খুবই টেকসইভাবে।পারফরম্যান্সের ওপর গুরুত্ব দিয়ে নোট ৩০ সিরিজে শক্তিশালী ৬ ন্যানোমিটারের প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে।
নোট ৩০ প্রো এবং নোট ৩০-তে আছে শক্তিশালী মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ প্রসেসর। যা ব্যাটারির কার্যকারিতাএবং উন্নত পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে ।
প্রতিটি মডেলেই আছে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ডিসপ্লে। তবে নোট ৩০ প্রো-তে আছে অ্যামোলেড ডিসপ্লে। এতেকরে ফোনটি হয়ে ওঠবে মোবাইল বিনোদনের যথার্থ সঙ্গী এবং প্রদান করবে চমৎকার ব্যবহারযোগ্যতা। সব ধরনের পরিস্থিতিতেই ব্যবহারকারীরা পাবেন রেসপন্সিভ ও প্রাণবন্ত ডিসপ্লে। নোট ৩০ সিরিজে আরও আছে আল্ট্রা-থিনবেজেল এবং জেবিএল-এর স্টিরিও ডুয়েল স্পিকার।
নোট ৩০ সিরিজে আছে ৮ জিবি ২৫৬ জিবি মেমোরি। যার ফলে বাড়বে মাল্টিটাস্কিং পারফরম্যান্স ও স্টোরেজ সক্ষমতা। সাথে আছে প্রয়োজনের সময় রেম বাড়িয়ে নেওয়ার প্রযুক্তি। এতসব ফিচার ও আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে, আকর্ষণীয় দামে ইনফিনিক্স হট ৩০ সিরিজ খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে বাংলাদেশের বাজারে।
ইনফিনিক্স মোবিলিটি একটি উদীয়মান প্রযুক্তি ব্র্যান্ড। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডের আওতায় বিশ্বজুড়ে অনেক ধরনের ডিভাইস ডিজাইন, প্রস্তুত ও বাজারজাত করে থাকে কোম্পানিটি। আজকের তরুণদের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল ডিভাইস প্রস্তুত করা তাদের মূল লক্ষ্য। এই ফোনগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য চমৎকার স্টাইল, পাওয়ার ও পারফরম্যান্স। ইনফিনিক্সের ট্রেন্ডি ডিভাইসগুলো ব্যবহারকারীর প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়। “ভবিষ্যৎ আমাদের হাতের মুঠোয় (দ্য ফিউচার ই না)” মূলমন্ত্র নিয়ে ইনফিনিক্স আজকের তরুণদের স্বকীয়তা তুলে ধরার জন্য অনুপ্রাণিত করতে চায়। আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৪০টির বেশি দেশে এই কোম্পানির পণ্য বিক্রি করা হয়। বিস্ময়কর গতিতে বিস্তার ঘটছে ইনফিনিক্সের। ২০১৯-২০২১ সালে কোম্পানিটির অভূতপূর্ব ১৫৭% প্রবৃদ্ধি ঘটেছে।চমকপ্রদ ডিজাইন ও দারুণ মানের ফ্ল্যাগশিপ লেভেল ডিভাইস প্রস্তুত করা চালিয়ে যাওয়ার বড় পরিকল্পনাও তাদের রয়েছে।