ক্ষমতাশীন দলের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ ও  প্রশাসনের  উর্ধতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে গুলশান বনানীতে শিপনের অবৈধ কর্মকান্ড

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধ স্পা সেন্টার পরিচালনাকারী শিপন।


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব  প্রতিবেদক  : ক্ষমতাশীন দলের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দের নিকট আত্মীয় ও প্রশাসনের  উর্ধতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে গুলশান বনানীতে শিপনের অবৈধ কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে সে কখনো পুলিশের ডিআইজি, কখনো, গুলশান বিভাগের ডিসি ছাড়াও গুলশান ও বনানী থানার ওসিদের ভাই এবং আত্মীয় পরিচয়ে প্রতারণা করে আসছে শিপন নামের এক যুবক।


বিজ্ঞাপন

পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এ অভিযাত এলাকায় চলাফেরা করেন শিপন। বিশেষ করে এ এলাকার অবৈধ  সেলুন স্পা সেন্টার গুলোর  আতংকের অপর নাম শিপন।প্রতারণার পাশাপাশি নিজেও স্পা সেন্টার খুলে তার আড়ালে জমজমাট অনৈতিক  ব্যবসা চালিয়ে আসছেন শিপন।

বিশ্বস্ত একটি  সূত্র থেকে জানা গেছে , শিপন বিশেষ করে গুলশান, বনানী, নিকেতন, উত্তরার অভিজাত এলাকা টার্গেট করেই  অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে । আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে দেওয়া হচ্ছে লোভনীয় বিজ্ঞাপন এসবের নেতৃত্ব দিচ্ছে শিপন মেহেদী।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায় শিপন কখনো পুলিশের ডিআইজি’র আত্মীয়, কখনো এমপি’র আত্মীয় ,আবার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের গুলশান বনানী এলাকার নেতৃত্বে থাকা নেতার পরিচয় দিয়ে গুলশান বনানীতে অবৈধ  স্পা সেন্টারগুলোর নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতারণার মাধ্যমে গ্রামের সহজ সরল স্বভাবের মেয়েদের চাকরির প্রনোলোভনে গুলশান বনানীর স্পা সেন্টারগুলোতে এনে বিক্রি করে দেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ ও উঠেছে তার বিরুদ্ধে  ।

নাম ও  পরিচয় গোপন রাখার শর্তে  স্থানীয় একটি সুত্র  জানায়, অভিজাত ও কূটনৈতিক এলাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাট নিয়ে এমন অসামাজিক কার্যকলাপ রীতিমতো  হতবাক করেছে স্থানীয়দের। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চাইলেই এইগুলো বন্ধ করা সম্ভব বলে মনে করেন তারা। এই ব্যবসাকে ঘিরে নানা ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মতো  ঘটনাও ঘটিয়েছে শিপন মেহেদী চক্র।

তবে বনানী থানার ওসি মোস্তাফিজুর বলছেন, আমরা মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন স্পা সেন্টারে অভিযান চালাই। পরে তারা আবারো বাসা পরিবর্তন করে পুনরায়  ব্যবসা চালু করে। শিগগিরই স্পার বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হবে। এ জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গুলশান, বনানী, নিকেতন ও উত্তরায় দেড়শতাধিক স্পা সেন্টার রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি স্পা সেন্টারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রঙিন  আলোয় ঝলমল করছে স্পা সেন্টারগুলো। বাইরে থেকে ভেতরের পরিবেশ অনুমান করা কঠিন। ভেতরে গেলেই চোখে পড়বে ছিমছাম পরিপাটি সেলুন।

অথচ এর মধ্যে চলছে অনৈতিক কর্মকাণ্ড। রয়েছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সুন্দরীদের আনাগোনা। ভেতরে ছোট ছোট কেবিন করা হয়েছে। স্কুল-কলেজের উঠতি বয়সী যুবক যুবতী সহ সমাজের একটি বড় অংশ শিপন মেহেদীকে খদ্দের দিয়ে থাকে।শিপন মেহেদীর নেতৃত্বে এধরনের অসংখ্য স্পা রয়েছে যার আড়ালে চলছে মাদক বাণিজ্যসহ অসামাজিক কার্যকলাপ।

স্থানীয় কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাদের বিরুদ্ধে গুলশান বিভাগের ডিসির কাছে কয়েকবার অভিযোগ করেও তারা কোন ফল পাচ্ছে না সাময়িক অভিযান পরিচালনা করা হলেও  দুই একদিন বন্ধ থাকার পর শিপন মেহেদীর নেতৃত্বে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে ।

এ বিষয়ে শিপন মেহেদীর বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ও তাকে পাওয়া যায় নি, তাই তার কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *