মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলের ক্ষমতাধর চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন ব্যাংকে ঢুকে ব্যাংকের জরুরি ডকুমেন্ট নিয়ে উধাও,জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করার ১৫দিন পর ফেরত,কি আছে ওই ডকুমেন্টে,ব্যাংক কর্তিপক্ষ নিরব ভুমিকায়। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন লোহাগড়া বাজার ফাষ্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিঃ এর একজন বিনিয়োগ গ্ৰাহক। গত ২০/৬/২০২৩ তারিখ বিকাল ৪,০২ মিনিটের সময় চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন উক্ত ব্যাংকে প্রবেশ করে এবং তার “উন্নতি”ডেপোজিট হিসাব নং ০১৫৭৩৭১০০০০০০০৪ হতে গৃহীত বিনিয়োগের হিসাব বিবরণী ও মুল ডিল পেপারস দেখতে চান। যথারীতি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মুল ডিল পেপারস গুলো দেখতে দেয় এবং পেপারস গুলো দেখা শেষ হলে হঠাৎ করে চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন ওই মুল ডিল পেপারস গুলো নিয়ে ব্যাংক থেকে দ্রুত পালিয়ে যান। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পেপারস গুলো ফেরত পেতে লোহাগড়া থানা ও ইউএনও এর সাহায্য চেয়ে ব্যর্থ হয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অবশেষে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিনের কাছে ডুকুমেন্ট গুলো ফেরত পেতে বার বার গিয়ে ও ব্যর্থ হন। লোহাগড়া ফাষ্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিঃ কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার উপায়ন্ত না পেয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মহাপরিচালক কে বিষয়টি অবগত করেন। অনুসন্ধানে দেখা যায়,চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিনের লোহাগড়া ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার শেখ সাদির মৃত্যুর সাথে এই ডকুমেন্টের বড় ধরনের রহস্য লুকিয়ে আছে বলে ধারনা করছেন লোহাগড়ার সচেতন মহল। চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন তার সাংঙ্গপাঙ্গ নিয়ে লর্ড স্টাইলে ব্যাংকে ঢুকে ডকুমেন্ট গুলো নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। তবে ব্যাংক কর্তিপক্ষ চেয়ারম্যানের ক্ষমতার কাছে অসহয় হয়ে দির্ঘ সময় পরে ব্যাংকের জরুরি ডকুমেন্ট ফেরত পান। ব্যাংক থেকে জরুরি ডকুমেন্ট ছিন্তাই এর ঘটনা নড়াইল জেলায় এই প্রথম,এমন নেক্কার জনক ঘটনায় নড়াইল বাসি নিন্দা জানান। চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন তার সাংঙ্গপাঙ্গ নিয়ে লর্ড স্টাইলে ব্যাংক থেকে জরুরি ডকুমেন্ট ছিন্তাই এর ১৫ দিন পরে জরুরি ডকুমেন্ট পেরত পেয়েছেন,ব্যাংক কর্তিপক্ষ। এদিকে,সদ্য ঘটে যাওয়া লোহাগড়া ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার শেখ সাদির সাথে টাকা পয়সার হিসাব কিতাব নিয়ে ৩ দিন ধরে শেখ সাদি কে ফিলিং স্টেশনে আটকিয়ে রেখে মারধর করে তাকে বিষ সেবনে বাধ্য করেছিলেন এবং তিনি বিষ সেবন করে মারা ও গিয়েছেন। চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদদীন সুকৌশলে শেখ সাদির ওই মরাদেহ বাগেরহাট জেলায় তার গ্ৰামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে খুনের মামলা থেকে কোন রকম রেহাই পান বলে জানা যায়,এবং একটি ভিডিও শোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়,সেখানে দেখা ও সোনা যায়,স্থানীয়রা বলছেন,লোহাগড়া ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার শেখ সাদির সাথে টাকা পয়সার হিসাব কিতাব নিয়ে ৩ দিন ধরে শেখ সাদিকে ফিলিং স্টেশনে আটকিয়ে রেখে মারধর করে তাকে বিষ সেবনে বাধ্য করেছিলেন। উপরে উল্লেখিত ছিনিয়ে নেওয়া মুল ডিল পেপারস সম্পর্কে লোহাগড়া ফাষ্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিঃ এর কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপক পরিচালক কামাল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,সৈয়দ বোরহান উদ্দিন ডুকুমেন্ট গুলো আজ ৫/৭/২০২৩ তারিখ বুধবার নিজে ব্যাংকে এসে দিয়ে গিয়েছেন,এখন আর কোন সমস্যা নেই। কেন নিলেন,বা কি কারনে আবার ফেরত দিয়ে গেলেন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি অসুস্থ বলে এড়িয়ে জান। এ বিষয়ে দিঘলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান,সৈয়দ বোরহান উদ্দিন এর মুঠোফনে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করে ফোন বন্ধ করে রাখেন।
মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইল সদর নড়াইল।
যোগাযোগ-মোবাঃ-01730895060