চোর চক্রের সদস্য ও উদ্ধার করা চোরাই মালামাল।
মো: রফিকুল ইসলাম (নড়াইল) : চোরাই মালামাল উদ্ধারসহ চুরির সাথে সম্পৃক্ত চার জনকে আটক করেছে নড়াইল জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) নড়াইল ও মাগুরা জেলার বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে সদর থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ টিম।
এ সময় ২টি ল্যাপটপ, ১টি স্মার্ট টিভি, ১টি রিমোট, ১টি ল্যাপটপ ব্যাগ, ২টি ল্যাপটপ চার্জার, ১টি স্কুল ব্যাগ, ১টি কাঁথা এবং অপরাধকল্পে ব্যবহৃত ২টি লোহার শাবল ও ১টি লোহার রড জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন- মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার নবগ্রামের জনৈক বাদশা খাঁর ছেলে সৈকত খাঁ (২৬) ও চর জোকা গ্রামের মোঃ মালেক শেখের ছেলে মোঃ জুয়েল মাহমুদ শেখ (২৬), শালিখা থানার পুলুম গ্রামের ফেরদৌস মোল্যার ছেলে ইয়ামিন মোল্যা (২৮) ও সোহরাব মজুমদারের ছেলে কবির মজুমদার (৪০)।
প্রসঙ্গত, ২৮ জুন, নড়াইল সদর থানাধীন দূর্গাপুর গ্রামের শেখ মোস্তফা কামাল সপরিবার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গেলে তার বাড়িতে চুরির সুযোগ নেয় দুর্বৃত্তরা। ১ জুলাই প্রতিবেশী রোকেয়া বেগম তার ঘরের মেইন দরজার পাল্লা খোলা দেখে। তিনি কাউকে না পেয়ে বাড়ির মালিককে ফোন করে।
সংবাদ পেয়ে বাড়িতে এসে ঘরের দরজা খোলা দেখে তিনি বিষয়টি তাৎক্ষণিক সদর থানা পুলিশকে অবগত করেন। নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুন এর নির্দেশনায় চোর সনাক্ত ও চোরাই মালামাল উদ্ধারের লক্ষ্যে মাঠে নামে জেলা পুলিশের একাধিক টিম।
গতকাল ৬ জুলাই যৌথ অভিযান চালিয়ে আসামি সৈকত খাঁকে নড়াইল সদর থানাধীন মহিষখোলা তার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি মতে নড়াইল ও মাগুরা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার ও চোরাই মালামাল জব্দ করে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সৈকত স্বীকার করে যে, গত ১ জুলাই রাতে বাড়ির ছাদে উঠে লোহার শাবল ও রড দিয়ে চিলে কোঠার ইটের গাথুনি খুলে ঘরে প্রবেশ করে মালামাল চুরি করে এবং চোরাই মালামাল গ্রেফতারকৃত অন্যান্য আসামিদের কাছে বিক্রি করে। এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যান্য চোরাই মালামাল উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।