মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার, লোহাগড়া ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার শেখ সাদির রহস্য জনক মৃত্যুর অবশেষে মহামান্য আদালতের মাধ্যমে মামলা রুজু হয়েছে। অকালীন রহস্য ময় মৃত্যু বরন কারী লোহাগড়া ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার শেখ সাদির স্ত্রী সাহিদা বেগম বাদী হয়ে ১২ জুলাই ২০২৩ তারিখ বুধবার মহামান্য আদালতের মাধ্যমে মামলা রুজু করেছেন। ঢাকার আন্ডার গ্রাউন্ডের হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন ও তার ৬ সহযোগীর নামে মামলা রুজু হয়েছে। ভূক্তভূগী অসহায় পরিবার শেখ সাদির স্ত্রী সাহিদা বেগম বলেন, আমি ন্যায় বিচারের আশায় মহামান্য আদালতে মামলা করেছি। উপরে আল্লাহ সহায় থাকলে অবশ্যই আমি ন্যায় বিচার পাবো ইনশাল্লাহ। আমার স্বামী শেখ সাদি সততা ও ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে লোহাগড়া ফিলিং স্টেশনে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চাকুরী করে আসছে,ওই ফিলিং স্টেশনের মালিক চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন আমার স্বামী কে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ৩ দিন ধরে ফিলিং স্টেশনের ভিতরে আটকিয়ে রেখে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত অবস্থায় যুদ্ধ বন্দীদের মত ফেলে রাখে। লোহাগড়ার সচেতন মহল বলেন,বর্তমান লোহাগড়া উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দের মধ্যে চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন নাকি অপরাধ জগতের খলনায়ক হিসেবে নোবেল পেয়েছেন।
সদ্য ঘটে যাওয়া,লোহাগড়া ফাষ্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ডুকুমেন্ট লর্ড স্টাইলে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার ও অভিযোগ রয়েছে। কিছু দিন পূর্বে ওই চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়মের কারন উল্লেখ পূর্বক নিউজ প্রকাশ করায় দিনে দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে তার গাড়িতে রাখা হকিস্টিক দিয়ে সাংবাদিক কে পিটিয়েছেন।
চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন ঢাকাতে আন্ডার গ্রাউন্ডে থেকে অসৎ কালো টাকার জোরে শেখ হাসিনার দেওয়া নৌকা প্রতীক কে হারিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন। চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিনের কুকর্মের কথা লোহাগড়ার মানুষ ইতি মধ্যে জেনে গেছেন, কিন্তু কিছু কিছু মানুষ রুপি চেয়ারম্যানের পা চাটুকা পশু আছেন তারা টাকা খেয়ে তার গুনগান গাচ্ছেন। অবশেষে শেখ সাদির স্ত্রী সাহিদা বেগম তার স্বামীর মৃত্যুর ন্যায় বিচারের আশায় মাননীয় প্রধান মন্ত্রী মানবতার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র কাছে জোর দাবি জানান।
এদিকে,নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লোহাগড়া ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার সাদির মৃত্যুর রহস্য সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে,চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিনের নির্দয় ভাবে নির্যাতনে শেখ সাদির মৃত্যুর ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত ঘটনাবলী জানান,নিহত শেখ সাদি’র স্ত্রী সাহিদা বেগম। তবে চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিনের ভয়ে এতদিন মুখ খোলেনি নিহতের পরিবার বলে সাংবাদিকদের জানান,ভুক্তভোগী নিহতের পরিবার। ইউপি চেয়ারম্যান ও লোহাগড়া ফিলিং স্টেশনের মালিক সৈয়দ বোরহান উদ্দিন তার ম্যানেজার শেখ সাদীকে ফিল্মি স্টাইলে তার ফিলিং স্টেশনের টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয়ে ফিলিং স্টেশনের একটি রুমের মধ্যে ৩ দিন আটকে রেখে নির্মম ভাবে শারীরিক নির্যাতন করে,পরে তাকে জোঁরপূর্বক বিষপান করিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে,নিহতের পরিবার। প্রভাবশালী দিঘলিয়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিনের ভয়ে
কাউকে কিছু না জানানোর সর্তে নড়াইল থেকে আমার স্বামী শেখ সাদীর লাশ বাড়ি নিয়ে আসতে পেরেছি বলে জানান স্ত্রী। আমার স্বামীর বিপদের সময় তার পাসে কেউ ছিলো না নড়াইলে। এখন আমরা নড়াইলে না,এজন্য এখন মিডিয়ার মাধ্যমে আইনের সহযোগিতা চাচ্ছি,দেশ বাশি জানুক দিঘলিয়া ইউনিয়নের খুনি ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন কত বড় সন্ত্রাসী বলেও জানান। ভুক্তভোগী পরিবার আরো জানান,নড়াইল থেকে মুখ খুললে আমাদের সবাইকে হত্যা করা হবে বলে ভয় দেখান সন্ত্রাসী বোরহান উদ্দিন। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিনের মুঠোফোনে সাদির মৃত্যুর বিষয় জানতে চাইলে বলেন,ঐ সমস্ত ফাউ প্যাচাল পাড়া বাদ দেন বলে ফোন কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন। এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন,লোহাগড়া ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মারা গেছে শুনেছি তবে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ কেউ করেনি,অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব বলেও জানান।
