ডিএনসিসির মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান এডিসের লার্ভা পাওয়ায় পঞ্চম দিনে ৫ লাখ ৮৩ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক :  বুধবার ১২ জুলাই, মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানের পঞ্চম দিনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১৬টি মামলায় মোট ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এছাড়াও আরো ১০টি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলেই একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। পুরো জুলাই মাস জুড়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হবে।


বিজ্ঞাপন

অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন মহাখালী ও বনানী এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসা বাড়ী, বাণিজ্যিক ভবন ও নির্মানাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লট, ড্রেন ঝোপঝাঁড়ে মশক বিরোধী অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় তিনটি ভবন মালিককে ৩ টি মামলায় মোট ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অঞ্চল-১ ও ৭ এর আওতাধীন উত্তরা, খিলখেত ও কাওলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩টি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলায় মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহবুব হাসান এই অভিযান পরিচালনা করেন।

এছাড়াও অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন মোহাম্মদপুর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাসির উদ্দিন মাহমুদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে ১টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করা হয় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

আগারগাঁও তালতলা জনতা হাউজিং এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান অভিযান পরিচালনা করেন।১টি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় বাড়ির মালিককে ১টি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ডিএনসিসির অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন উত্তরা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে ৭টি মামলায় ১ লাখ ২১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন বাড্ডা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। একটি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ৭ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এছাড়াও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করে এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন। বাংলাদেশ স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরাও ডিএনসিসির কর্মীদের সাথে যুক্ত হয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

উল্লেখ্য, মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান তদারকির জন্য সকল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দশটি টিম গঠন করা হয়েছে। দশটি টিম প্রতিদিন চলমান অভিযান শরীরে পরিদর্শন করে তদারকি করছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *