পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কারক ———- মুজিবুল হক চুন্নু

Uncategorized এইমাত্র জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজনীতি সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা, সোমবার  ১৭ জুলাই, জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, দুইটি দল গত ৩০ বছর পালাক্রমে গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে ক্ষমতায় থেকে জনগণকে শোষণ করছে। কিন্তু তারা একটি সুষ্ঠ নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে পারে নাই। তারা জনগণের ভাতের অধিকার, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে পারে নাই। বিএনপি ৯১ এ ক্ষমতায় এসে হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে তারই ধারাবাহিকতায় উন্নয়নের নামে দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে হাওয়া ভবনে রূপান্তরিত করেছে। তার তুলনায় জাতীয় পার্টির শাসন আমলে সুশাসন ছিল, উন্নয়ন ছিল, সংস্কার ছিল, প্রকারান্তরে দুর্নীতি ছিল না, প্রতিহিংসার রাজনীতি ছিল না, পুলিশের নির্যাতন ছিল না, গুম খুন ছিল না। আমরা ক্ষমতায় গেলে আবারও মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা নিশ্চয়তা প্রদান করবো। তাই জাতীয় পার্টির উপর ভরসা রাখুন, জাতীয় পার্টিকে সমর্থন করুন।


বিজ্ঞাপন

তিনি আজ বিকাল ৪ টায় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর উদ্যোগে বাংলাদেশের সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভা, দো’আ মাহফিল ও দুস্থ জনগণের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।


বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি পল্লীবন্ধুর বিভিন্ন উন্নয়ন ও সংস্কারমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরে বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন এ দেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কারক ও প্রশাসক। তিনি ৪০ বছর আগে যে চিন্তা করেছিলেন বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দল তখন বিরোধিতা করলেও আজ সেই পথেই হাটছে। তিনি সারা বাংলাদেশকে সড়ক পথে যুক্ত করেছিলেন। তিনি উপজেলা প্রবর্তন করেছিলেন, ঔষধ নীতি বাস্তবায়ন করেছিলেন, গার্মেন্টস শিল্পে ব্যাক টু ব্যাক এলসির প্রবর্তন করেছিলেন, রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম করেছিলেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামে স্কুল কলেজ ও হল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর অসংখ্য কর্মকান্ড ও সংস্কারের সুফল জনগণ ভোগ করছে। জাতীয় পার্টির শাসন আমল বাংলাদেশের জনগনের জন্য স্বর্ণযুগ হিসেবে বিবেচিত। তাই জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে আবার জনগনের ভাগ্য উন্নয়ন হবে।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি’র সভাপতিত্বে এই স্মরণ সভা ও দো’আ মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, এড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল আলম রুবেল, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে, এম এ সোবহান, শারফুদ্দিন আহমেদ শিপু, কেন্দ্রীয় সদস্য মাহবুবুর রহমান খসরু, জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি আল মামুন।

খোরশেদ আলম খুশুর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহার শামীম, নাজনীন সুলতানা, ভাইস চেয়ারম্যান শেখ আলমগীর হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ বেলাল হোসেন, আমির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাস, হুমায়ুন খান, এবি এম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, মাহমুদা রহমান মুন্নী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিন, এড. খন্দকার ফায়েকুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মোঃ হেলাল উদ্দিন, আজহারুল ইসলাম সরকার, আকতার হোসেন দেওয়ান, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, মীর সামসুল আলম লিপটন, কেন্দ্রীয় সদস্য বি এম নুরুজ্জামান, শাহ মোস্তাইন বিল্লাহ, আলমগীর হোসেন, শেখ মোঃ আবু ওয়াহাব, মোঃ আসাদুল হক, মিজানুর রহমান, শেখ নেয়ামত উল্লাহ নুর, আবুল কালাম আজাদ, আলাউদ্দিন আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন সেন্টু, এড. নজরুল ইসলাম খান, জামাল হোসেন, মোঃ আরিফুর রহমান রুবেল, আব্দুর রহিম, মোড়ল জিয়াউর রহমান সহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড হইতে আগত নেতা কর্মীবৃন্দ।

আলোচনা শেষে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর বিদেহী আত্মার আগফিরাত ও দেশ জাতীর কল্যাণ কামনায় দো’আ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। হাফেজ ক্বারী ইছারুহুল্লাহ আসিফ দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *