কালব’র জনসংযোগ কর্মকর্তা পরিচয়দানকারি কে এই সাানোয়ার পারভেজ ?  চেয়ারম্যানের বৈধতা নিয়েই যেখানে প্রশ্ন সেখানে পিআরও নিয়োগ দিল কে ?

Uncategorized আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

কালবের জনসংযোগ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রেরিত সেই কথিত প্রতিবাদ নামক হুমকি পত্র বা সাংবাদিকতার অনুশীলন কপি।


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক :  সম্প্রতি আজকের দেশ ডটকম এ ” কালবের ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড সীমাকে দুদকে তলব” শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় পর কালবের লেটারহেড প্যাডে জনসংযোগ কর্মকর্তা পরিচয়ে সাানোয়ার পারভেজ নামে এক ব্যেক্তি নিজেকে কালবের জনসংযোগ কর্মকর্তা পরিচয়ে আজকের দেশ ডটকম এর সম্পাদক ও প্রকাশকের জিমেইল এ একটি প্রতিবাদপত্র প্রেরন করেন।

উল্লেখিত প্রতিবাদপত্রে পত্রিকায় কোন প্রতিবাদ ছাপানোর অনুরোধ করা হয়নি। অথচ শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য প্রদান করা হয়। সাধারন একটি সমবায় সমিতির জনসংযোগ কর্মকর্তা  পরিচয় দিয়ে দম্ভোক্তি প্রকাশ করেই ক্ষান্ত হননি তিনি , রীতিমত সম্পাদক ও প্রকাশককে  সাংবাদিকতা শিক্ষা দেয়ার মত ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছেন। সম্পাদক ও প্রকাশককে রীতিমতো  টেলিফোনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হুমকিও প্রদান করেন।

সানোয়ার পারভেজের ফেসবুকে তার কালবে পুনরায়  ফিরে আসার অনুভূতি প্রকাশের পোস্ট।

এদিকে কালবের বোর্ডের একাধিক সদস্যের সাথে কথা বলে জানাগেছে ,কালবে কোন জনসংযোগ কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়নি। এবিষয়ে বোর্ডে কোন আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি। তারা এবিষয়ে কিছুই জানেন না। আর চেয়ারম্যান এককভাবে জনসংযোগ কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে পারেন কিনা এবিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার একান্ত শর্তে একজন বোর্ড সদস্য বলেন,চেয়ারম্যানের একক কোন ক্ষমতা নেই। সমবায় আইন,বিধিমালা ও কালবের উপ-আইন অনুযায়ী বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে নিয়োগ হতে হবে। এখন সাানোয়ার পারভেজ কখন কিভাবে কালবের জনসংযোগ কর্মকর্তা হলেন তা আমরা কিছুই জানি না।

কালব সূত্রে জানাগেছে, সানোয়ার পারভেজজ ঢাকী-মালেকের বোর্ডে জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে ছিলেন। ঐসময়ে তার বিরুদ্ধে কালবের বিভিন্ন সদস্য সমিতি থেকে ডকুমেন্টারি তৈরির নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে । যেকারনে তাকে ঢাকি-আলফ্রেড’র বোর্ড জনসংযোগ কর্মকর্তার পদ থেকে  অব্যাহতি দেয়।

এখন আবারও জনসংযোগ কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন সমিতির ডকুমেন্টারি তৈরির নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে তার নামে।

অন্যদিকে কালবের ”চেয়ারম্যান” আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের এর পদে থাকার বৈধতা নিয়েও আইনী প্রশ্ন উঠেছে ।

জানাগেছে, কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ (কালব) এর ১১ নভেম্বর-২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে একাডেমিক উচ্চ শিক্ষাহীন, এককালের দর্জি আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের অর্থ ও পেশী শক্তির কাছে আইন আদালত একপ্রকার  হেরে গেছে বলা যায় ।

এমনকি সুপ্রিম কোর্টের আদেশও সমবায় অধিদপ্তরের কতিপয় অসৎ কর্মকর্তা অত্যন্ত সুক্ষভাবে পাশকাটিয়ে গেছে। কালবে নির্বাচন করার জন্যে প্রাথমিক যোগ্যতা তথা সিউডিসিসি কোর্স সম্পন্ন করেন নি আগষ্টিন পিউরিফিকেশন। আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের পক্ষাবলম্বনকারি একজন পরিচালক প্রার্থী ডেভিড প্রবিন রোজারিও কালবের দীর্ঘ দিনের অনুসৃত উপ-আইনের বিধান বাতিলের জন্যে হাইকোর্টে রীট পিটিশন দায়ের করেন। হাইকোর্ট উপ-আইনের সংশ্লিষ্ট বিধানের প্রয়োগ স্থগিত করলেও সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বাতিল করে দেন।

ফলে সিইউডিসিসি কোর্স সম্পন করার পরও মনোনয়ন পত্রের সাথে দাখিল না করার কারনে নির্বাচন কমিটি খোদ রীট পিটিশনার ডেভিড প্রবিনের মনোনয়নপত্র বাতির করে দেন। তেমনি চেয়ারম্যান প্রার্থী আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের সিইউডিসিসি কোর্স না করার কারনে মনোনয়ন বাতিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে তার নামে ব্যালট মৃদ্রনও স্থগিত করেন নির্বাচন কমিটি।কিন্ত কোন এক অদৃশ্য কারনে শেষ সময়ে এসে কোন পত্র ইস্যু করা ছাড়াই তার প্রার্থীতা বহাল রেখে দেন।

আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের নির্বাচনে অংশগ্রহনের সুযোগ প্রদান অথবা মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা স্পষ্টত: কেবল সমবায় আইন,বিধি বা কালবের উপ-আইনের লংঘন নয় সুপ্রিম কোর্টের আদেশেরও লংঘনের শামিল। দৃশ্যত: এই বেআইনি কাজ করেছেন নির্বাচন কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত নিবন্ধক কাজী মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, সদস্য যুগ্ম নিবন্ধক শেখ কামাল উদ্দিন আহমেদ এবং সদস্য পরিদর্শক মো: তায়েফ। নেপথ্যে ছিলেন কয়েকজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। এহেন অবৈধ কাজকে বৈধতা দেয়ার অপচেষ্টার পশ্চাতে ”বড় অংকের আর্থিক লেনদেন” হয়েছে বলে সমবায় অধিদপ্তরের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, আগষ্টিন পিউরিফিকেশন-কে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা সম্পূর্ণ বেআইনী। তিনি বেআইনী ভাবে কালবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। আর আকু অনুমোদিত কালব পরিচালিত সিইউডিসিসি কোর্সের বিকল্প হিসেবে, কাককো প্রদত্ত সিইউএমডিসিসি সনদ কখনো গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। এটা কোন কর্মে যখন সরকার স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ থেকে সনদ চাওয়া হয়, তখন তার স্থলে সরকারি অনুমোদন ব্যতিত পরিচালিত কওমি মাদ্রাসার থেকে সনদ নিয়ে দাখিল করার শামিল। সমবায় অধিদপ্তর ও নির্বাচন কমিটি আইন আদালতের সাথে কৌশলে প্রতারনা করেছেন। নির্বাচনে আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের প্রার্থীতা বৈধতা দেয়া চ্যালেঞ্জ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও কালবের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান জোনাস ঢাকী আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্ত হঠাৎ করেই অদৃশ্য কারনে পিছু হটেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে।

এদিকে কালবের ডেলিগেটদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। আগষ্টিন পিউরিফিকেশন অর্থ ও পেশি শক্তিতে বলিয়ান হওয়ায় গুম,খুন, জেল জুলুমের ভয়ে তারা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে। ফলে কালবের উপর জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসা ”অবৈধ” চেয়ারম্যানের সদল বলে ঢাক ঢোল পিটিয়ে সংবর্ধনা গ্রহন অসহায়ের মত অবলোকন করছেন কালবের সাধারণ স্টকহোল্ডাররা। কালবের সাধারণ স্টকহোল্ডারদের মতে অবৈধভাবে ক্ষমতাদখলকারীর খামখেয়ালিভাবে নিয়োগ দেওয়া জনসংযোগ কর্মকর্তার তো একটু দম্ভোক্তি থাকবেই!


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *