নিজস্ব প্রতিনিধি : আরসা কমান্ডার আটকের বিষয় টা সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের অন্যতম সফল অপারেশন বলা যায়, আর এই আরসা সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতৃত্বে ছিল আরসা কমান্ডার হাফেজ নুর মোহাম্মদ, গত শুক্রবার ২১ জুলাই, র্যাবের সাড়াশি অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে আরসা কমান্ডার হাফেজ নুর মোহাম্মদ।
আরসা কমান্ডার হাফেজ নুর মোহাম্মদকে গত শুক্রবার ২১ জুলাই, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফের গহীন পাহাড় থেকে আটক করা হয়েছে বলে এক পোস্টে জানানো হয়েছিল। এই অভিযান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির অন্যতম সফল অভিযানের একটি পাশাপাশি প্রতিশোধ ও বটে।
২০২২ সালে মাদকবিরোধী মিশনে সীমান্তে দায়িত্বরত অবস্থায় মায়ানমারের আরসা সন্ত্রাসীদের হাতে শহীদ হন গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের একজন স্কোয়াড্রন লিডার পদমর্যাদার কর্মকর্তা। ডিজিএফআইয়ের এই কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিলেন আরসার এই কমান্ডার।
র্যাবের অভিযানে গ্রেফতারকৃত আরসা কমান্ডার হাফেজ নুর মোহাম্মদ।
হাফেজ নুর মোহাম্মদ নিজে ডিজিএফআই কর্মকর্তার মৃত্যু নিশ্চিত করেছিলেন। পরবর্তী সীমান্দে ঘন্টাব্যাপী চলা বন্দুকযুদ্ধে এই গোয়েন্দা কর্মকর্তার মৃতদেহ উদ্ধার করে রেব এর একটি বিশেষ দল।
এছাড়াও তার নির্দেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং আশপাশের এলাকা থেকে কিডন্যাপিং এর কাজ করত আরসা সদস্যরা। সর্বশেষ গত সপ্তাহে ক্যাম্পে দু পক্ষের সংঘর্ষে যে ৬ জন নিহত হয় তাতেও সরাসরি নেতৃত্ব দিতে উখিয়া এসেছিলেন তিনি।
দীর্ঘ একবছর ধরে তাকে ধরার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সদস্যরা। অবশেষে গোয়েন্দাদের জালে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের হাতে ধরা পড়ল কুখ্যাত এই সন্ত্রাসী। এতে পুরন হল গোয়েন্দা কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধও। (তথ্য সূত্র ও ছবি : ডিফেন্স রিসার্চ ফোরাম)