জায়েস গ্রুপের উদ্যোগে বাংলাদেশ আই হসপিটালে চালু হয়েছে দেশের প্রথম জায়েস ভিশন এক্সপার্ট সেন্টার !!  আরও উন্নত হল দেশের চক্ষুসেবার মান !! 

Uncategorized অর্থনীতি জাতীয় ঢাকা বানিজ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশেষ প্রতিবেদন স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  অপটিকস ও অপটোইলেক্ট্রনিক্স টেকনোলজিতে শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কার্ল জায়েস আজ বাংলাদেশ আই হসপিটালে দেশের প্রথম জায়েস ভিশন এক্সপার্ট সেন্টারের উদ্বোধন ঘোষণা করেছে। দেশের চক্ষুসেবার জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। দেশের মানুষের প্রয়োজন বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অত্যাধুনিক চক্ষুসেবার ব্যবস্থা ও উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে এসেছে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানটি।


বিজ্ঞাপন

জায়েস ভিশন এক্সপার্ট সেন্টার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আই হসপিটালের চেয়ারম্যান ডা. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ আই হসপিটালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. নিয়াজ আব্দুর রহমান, কার্ল জায়েস ইন্ডিয়া (ব্যাঙ্গালোর) প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিগুয়েল গঞ্জালেজ ডিয়াজ এবং জায়েস গ্রুপের সার্ক অঞ্চলের রিজিওনাল হেড বিকাশ সাক্সেনা। অনুষ্ঠানটিতে জায়েস ভিশন এক্সপার্ট সেন্টারের সেইসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত চক্ষুসেবার সামগ্রী প্রদর্শন করা হয় যেগুলি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।


বিজ্ঞাপন

এই বিষয়ে কার্ল জায়েস ইন্ডিয়া (ব্যাঙ্গালোর) প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিগুয়েল গঞ্জালেজ ডিয়াজ বলেন, “বাংলাদেশ আই হসপিটালে ঢাকার প্রথম জায়েস ভিশন এক্সপার্ট সেন্টার চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিতা অপটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে কার্ল জায়েস সর্বদা অগ্রগামী এবং বাংলাদেশের মানুষের কাছে আমাদের এই সেবার ধারা নিয়ে আসতে পেরে আমরা গর্বিতা আমাদের উদ্ভাবনী পদক্ষেপগুলি প্রতিটি রোগীর ব্যক্তিগত অবস্থা যাচাই করে ও প্রযুক্তিভিত্তিত পরিমাপ ব্যবস্থা দিয়ে তার ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুসারে লেন্স দিতে সহায়তা করবে৷ জায়েস-এর মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তি ও রোগী সবসময় সেরা অভিজ্ঞতা পাবে।”

জায়েস গ্রুপের সার্ক অঞ্চলের রিজিওনাল হেড বিকাশ সাক্সেনা বলেন, “জায়েস ভিশন এক্সপার্ট সেন্টারের উদ্ভোধনবাংলাদেশের মানুষের চক্ষুসেবাসহ তাদের জীবনযাত্রার সার্বিক মান উন্নত করার প্রতি আমাদের যে অঙ্গীকার, তাপ্রতিফলিত করে। কার্ল জায়েসের বৈশ্বিক সম্প্রসারণ প্রক্রিয়ায় এটি একটি উল্লেখ্যোগ্য অধ্যায়। বাংলাদেশের দ্রুতবর্ধনশীল আই কেয়ার মার্কেটের সম্ভাবনার প্রতি আমাদের কোম্পানির আত্মবিশ্বাসও এতে স্পষ্ট হয়।”

বাংলাদেশ আই হসপিটালের এই সর্বশেষ সংযোজন সম্পর্কে ডা. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, “জায়েস ভিশন এক্সপার্ট সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে জায়েস গ্রুপের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। এটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দ্বারা সজ্জিত এবং অত্যন্ত দক্ষ চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে পরিচালিত। হাসপাতালের উন্নত যন্ত্রপাতি এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের এই সমন্বয় নিশ্চিত করে যে, প্রতিটি রোগী চোখের সর্বোত্তম চিকিৎসা পাবেন। এছাড়াও রোগীরা তাদের প্রয়োজন অনুসারে নির্ভুল চক্ষু পরীক্ষা, সুনির্দিষ্ট প্রেসক্রিপশন এবং উপযোগী সমাধান পাবেন।”

জায়েস ভিশন এক্সপার্ট সেন্টারে থাকছে বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রযুক্তি। এর মধ্যে রয়েছে সেনট্রেশন ডিভাইস ZEISS VISUFIT 1000, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে গ্রাহকদের জন্য উপযুক্ত চশমার ফ্রেম নির্ধারণ করতে পারে। এতে ১৮০ ডিগ্রি ফেস ডিউ, ভার্চুয়াল ট্রাই-অন ও বিভিন্ন ফ্রেম তুলনা করে দেখার সুবিধাসহ বিশেষ কিছু ফিচার রয়েছে। এছাড়াসেন্টারটিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও সেরা উপদানে তৈরি উন্নত মানের লেঙ্গ, মানানসই ফ্রেম ও অন্যান্য অপটিক্যাল অ্যাকসেসরিজ পাওয়া যাবে।

জায়েস সম্পর্কে:

জায়েস অপটিকস ও অপটোইলেক্ট্রনিকেরা শীর্ষস্থানীয় একটি আন্তর্জাতিক টেকনোলজি এন্টারপ্রাইজ। আগের অর্থ বছরে সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং টেকনোলজি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোয়ালিটি অ্যান্ড রিসার্চ, মেডিকেল টেকনোলজি এবংকনজিউমার মার্কেট- এই চারটি ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি ৮.৮ বিলিয়ন ইউরো আয় করেছে (সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২ পর্যন্ত)।

গ্রাহকদের স্বার্থে জায়েস বিভিন্ন ধরনের মানসম্মত পণ্য তৈরি করে থাকে। যেমন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেট্রোলজি অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্সের জন্য এর রয়েছে অত্যাধুনিক ও উদ্ভাবনী সমাধান লাইভ সায়েন্স ও ম্যাটেরিয়ালস রিসার্চের জন্য রয়েছে মাইক্রোস্কপি সলিউশন, অপথালমোলজি ও মাইক্রোসার্জারির পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য রয়েছে মেডিকেল টেকনোলজি সলিউশন। জায়েস বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় লিথোগ্রাফি অপটিক্সেরও সমার্থক্যা সেমিকন্ডাক্টরের অংশাদি উৎপাদনে চিপ ইন্ডাস্ট্রিতে এটি ব্যবহৃত হয়। বিশ্বব্যাপী জায়েস ব্র্যান্ডের আধুনিক পণ্য যেমন চশমার লেন্স, ক্যামেরার লে এবং বাইনোকুলারের চাহিদা রয়েছে।

শক্তিশালী একটি ব্র্যান্ড হিসেবে জায়েসের কার্যক্রমে ভবিষ্যত সমৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন খাত যেমন ডিজিটালাইজেশন, স্বাস্থ্যসেবা এবং স্মার্ট প্রোডাকশন প্রাধান্য পায়। প্রতিষ্ঠানটি প্রযুক্তির ভবিষ্যত বিনির্মাণের পাশাপাশি অপটিক্স ও এর সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন ক্ষেত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছো জায়েসের প্রযুক্তি ও নেতৃত্বের বিকাশ ও সাফল্যের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে গবেষণা ও উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটির টেকসই বিনিয়োগ্যা জায়েস রাজস্বের ১৩ শতাংশ গবেষণা এবং উন্নয়নে বিনিয়োগ করে, যা একইসাথে জায়েসের দীর্ঘদিনের একটি বৈশিষ্ট্য ও ভবিষ্যতমুখী পদক্ষেপ।

৩৮০০০-এরও বেশি কর্মচারী, ৫০টি দেশে ৩০টি উৎপাদন কেন্দ্র, ৬০টি বিক্রয় ও সেবা প্রতিষ্ঠান এবং ২৭টি গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের সুবিধা নিয়ে জায়েস বিশ্বব্যাপী সক্রিয় (সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২ পর্যন্ত)। ১৮৪৬ সালে জেনাতে প্রতিষ্ঠিত জায়েসের হেডকোয়ার্টার জার্মানির ওবারকোহেনে অবস্থিত। বিজ্ঞান প্রচারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জার্মানির বৃহত্তম ফাউন্ডেশনগুলোর মধ্যে অন্যতম কার্ল জায়েস ফাউন্ডেশন, যা হোল্ডিং কোম্পানি কার্ল জায়েস এজির একমাত্র স্বত্বাধিকারী।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *