নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন হাওলাদার এবং তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নানকে মিথ্যা মামলায় ভোলা সদর থেকে গ্রেফতার করে লালমোহন থানায় নিয়ে আসে লালমোহন থানা পুলিশ, এই অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
সারোজমিনে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার এর সক্রিয় সমর্থক হওয়ায় গত এক বছর যাবত আওয়ামী লীগের এই নেতাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন বর্তমান সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। ইতিমধ্যে গত ২৪ জুন মোঃ হোসেন হাওলাদারের বাড়িতে এবং গত ২৫ জুন রিয়াদ হোসেন হান্নানের বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাট চালায় বর্তমান সাংসদের সমর্থকরা।
হামলা-ভাঙচুরের পরে মোঃ হোসেন হাওলাদার কে ৪টি মামলায় ও রিয়াদ হোসেন হান্নান কে ৩টি মামলায় আসামী করা হয়। পরবর্তীতে গত ২৭ জুন ভোলা প্রেস ক্লাব হলরুমে হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন হাওলাদার ও তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নান।এতে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে বর্তমান সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিশের উপর চাপ প্রয়োগ করে গ্রেপ্তার করিয়েছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা দাবি করছেন।
এই বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ জানান, আওয়ামী লীগ সরকার এক মেয়াদে তিনবার ক্ষমতায় আছে এই দলে মনোনয়নের প্রতিযোগিতা থাকবে এটা স্বাভাবিক বিষয়।
তাই বলে প্রতিহিংসায় নিজ দলীয় দুর্দিনের পরীক্ষিত কর্মীদের এইভাবে হামলা-মামলায় জর্জরিত করে দলের ভিতরে অভ্যন্তরীণ কোন্দল করা ঠিক হয়নি। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তাছাড়াও তারা বলেন, শেখ হাসিনা যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে মনোনয়ন দিবেন, আমরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার জন্য কাজ করবো ।
এই বিষয় জানতে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধীক বার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।