লবণচরা থানা কর্তৃক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনসহ ৩ জন আসামী গ্রেফতার : কেএমপি’ র পুলিশ কমিশনারের প্রেস ব্রিফিং 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন

মামুন মোল্লা (খুলনা) : মঙ্গলবার  ১ আগস্ট  বিকাল ৪ টা ৫ মিনিটের সময় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ  কেএমপি’র সদ্য যোগদানকৃত পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা  প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং করেন। কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার বলেন যে, “যে কোন ফৌজদারী অপরাধের রহস্য দ্রুততম সময়ে উদঘাটন করতঃ আসামী গ্রেফতারপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।


বিজ্ঞাপন

এরই ধারাবাহিকতায় লবণচরা থানার মামলা নং-০১, তারিখ-০১/০৮/২০২৩ , ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড সংক্রান্তে হত্যা মামলার ৩ (তিন) জন আসামীকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার ১ আগস্ট খুলনা  মহানগরীর বিভিন্ন থানা এলাকায় ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একাধিক টিম গোপন অনুসন্ধান চালিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ মালেক(৩৭), পিতা-মৃতঃ ডাঃ মোমেন উদ্দিন@মমিন শেখ, সাং-পশ্চিম বানিয়া খামার আলকাতরা মিলের পিছনে, থানা-সোনাডাঙ্গা, জেলা-খুলনা’কে দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটের সময় গল্লামারী এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও’ দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটের সময়  দরগা এলাকা হতে সহযোগী আসামী মোঃ সোহাগ (২০), পিতা-মাহাতাব শেখ, সাং-বুড়ো মৌলভীর দরগাপাড়া কাশেমিয়া মসজিদের সামনে, থানা-লবণচরা, জেলা-খুলনা এবং সহযোগী আসামী  মোঃ হাসিব(২১), পিতা-শাজাহান, সাং-বুড়ো মৌলভীর দরগাহপাড়া মেজরের মোড়ের সামনে, থানা-লবণচরা, জেলা-খুলনাদের কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, অত্র মামলার বাদী মোঃ সোহাগ পাটোয়ারী(৩৬), পিতা-আব্দুল মালেক পাটোয়ারী, সাং-৪নং কাশেম সড়কের মাথায়, থানা-খুলনা সদর, জেলা-খুলনা এজাহারে উল্লেখ করেন যে, আসামীগণ নিহত ভিকটিম সোহাগ পাটোয়ারী (৩৬) এর পূর্ব পরিচিত।

ভিকটিমের সাথে আসামীদের পূর্বশত্রুতার জের ধরে গতকাল সোমবার  ৩১ জুলাই, রাত অনুমান ১১ টা .৩৫ মিনিটের সময় বৃষ্টির মধ্যে ভিকটিমের নিজ ব্যবহৃত টিভিএস স্টাইকার মোটর সাইকেল নিয়ে বাসায় ফেরার পথে লবণচরা থানাধীন সবুজ পল্লী প্রধান সড়ক সালাম এর বাড়ীর পিছনে বাহার সাহেবের বাগান বাড়ির সামনে পৌঁছানো মাত্র উপরে বর্ণিত আসামীগণ সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নিহত ভিকটিম সোহাগ পাটোয়ারীর মোটর সাইকেল থামিয়ে তাকে জোরপূর্বক বাগানের ভিতর নিয়ে গিয়ে চাপাতি দিয়ে তার হাত পায়ের রগ কেটে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়।

পরবর্তীতে ভিকটিমের বাঁচাও বাঁচাও বলে আত্মচিৎকারের শব্দ শুনে ঘটনাস্থলের পাশের বাড়ির মোঃ আরিফ (৩০) ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম সোহাগ পাটোয়ারীকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে পাশের বাড়ির মোঃ সালাম (৩৫) কে ডাক দেয়। তখন তারা দুইজন মিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম সোহাগ পাটোয়ারীর হাত পায়ের রগ কাটা রক্তাক্ত অবস্থা দেখে তার রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করে এবং অন্যান্য লোকজনের সহায়তায় ভিকটিম সোহাগ পাটোয়ারীরকে ইজিবাইকযোগে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিম মোঃ সোহাগ পাটোয়ারীকে মৃত ঘোষণা করেন।

সিডিএমএস পর্যালোচনায় দেখা যায় ভিকটিমের নামে ২টি মামলা এবং গ্রেফতারকৃত ১নং আসামী মোঃ মালেকের ২টি, ২নং আসামী মোঃ সোহাগের ২টি, ৩নং আসামী মোঃ হাসিবের ২ টি মামলা রয়েছে।

এ-সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ  কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও)  সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মোঃ সাজিদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল)  মোছাঃ তাসলিমা খাতুন-সহ উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *