মামুন মোল্লা (খুলনা) : আজ বুধবার ২ আগস্ট, সকাল ১১ টা ৫ মিনিটের সময় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কেএমপি’র সদ্য যোগদানকৃত পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা, এর সভাপতিত্বে বয়রাস্থ পুলিশ লাইন্সের মাল্টিপারপাস হলে বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এর মধ্য দিয়ে শোকাবহ আগস্টের সূচনালগ্নে আয়োজিত এই বিশেষ কল্যাণ সভার কার্যক্রম শুরু হয়।
বিশেষ কল্যাণ সভার শুরুতে সঞ্চালক অতিঃ ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) সোনালী সেন, পিপিএম-সেবা কেএমপি’র সদ্য যোগদানকৃত পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা, এর সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত আলোকপাত করেন।
এরপর পুলিশ কমিশনার বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত অফিসার ও ফোর্সদের সমস্যার কথা অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেন এবং তাদের বিভিন্ন দাবী এবং প্রত্যাশা পূরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
অফিসার ও ফোর্সদের বক্তব্য শ্রবণের পর পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা, বিশেষ কল্যাণ সভায় উপস্থিত সকলকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি ইতিহাসের মহানয়ক ও স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান স্থপতি বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার শত্রু কতিপয় ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে শহীদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
একই সাথে ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের প্রথম প্রহরে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধে শহীদ সকল পুলিশ সদস্যসহ ত্রিশ লক্ষ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রম হারানো দুই লক্ষ মা-বোনের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিশেষ কল্যাণ সভায় পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা, তাঁর বক্তব্যে সকল পদ মর্যাদার অফিসার ও ফোর্সকে সঠিকভাবে ইউনিফর্ম পরিধান এবং উত্তম টার্নআউট মেনে চলা নির্দেশ প্রদান করেন।
এছাড়া সমস্ত ইউনিট এবং অফিস সমূহে রোল কলের ব্যবস্থা করা ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সেবা প্রত্যাশীদের সাথে উত্তম আচরণ করার নির্দেশনা প্রদান করেন। পাশাপাশি অস্ত্রাগার, ক্লথিং স্টোর, রেশন স্টোর এর ইনচার্জ ও মেস ম্যানেজারদের কে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন।
মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে বিশেষ অভিযান পরিচালনা, পুলিশ সদস্যদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ প্রদান করেন।চেইন অব কমান্ড ফলো করতে সকল স্তরের কর্মকর্তা এবং ফোর্সদের বিশেষভাবে নির্দেশনা প্রদান করেন।
শরীর ও মন সুস্থ রাখার জন্য পিটি প্যারেডের ব্যবস্থার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়ানোর ব্যাপারে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
দুর্ঘটনা হ্রাসকরণ, যানজট নিয়ন্ত্রণসহ ট্রাফিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কেএমপি’র ট্রাফিক বিভাগকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন।
সবশেষে পুলিশ কমিশনার বিশেষ কল্যাণ সভায় উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত, ইভটিজিং মুক্ত, মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত এবং ফৌজদারি অপরাধ মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যাশা জানিয়ে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য শেষ করেন।
উক্ত বিশেষ কল্যাণ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মোঃ সাজিদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) রাশিদা বেগম, পিপিএম-সেবা, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, পিপিএম, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিবি) বি.এম নুরুজ্জামান, বিপিএম, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ইএন্ডডি) মোঃ কামরুল ইসলাম, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (এফএন্ডবি) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মনিরা সুলতানা, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (আরসিডি) শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজী এবং বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল, খুলনার ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা: সৈয়দ একেএমএন করিম-সহ অতিঃ ডেপুটি পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, সহকারি পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, অফিসার ইনচার্জবৃন্দ, সাব-ইন্সপেক্টরবৃন্দ, এএসআইবৃন্দ, কনস্টেবলবৃন্দ এবং কেএমপিতে কর্মরত সিভিল স্টাফবৃন্দ।