খুনিদের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম চলবে —– কৃষিবিদ আফম  বাহাউদ্দিন নাছিম

Uncategorized জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী রাজনীতি সারাদেশ

বক্তব্য রাখছেন কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দীন নাসিম।


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক :  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, খুনিদের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম চলতেই থাকবে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শান্তির স্বপক্ষের সংগ্রাম সব সময় চলবে। যে কোন মূল্যে আমাদের গণতন্ত্রকে আমরা রক্ষা করবো। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠিত হয়, মানুষ যাতে তাদের ভোট দিতে পারে তার জন্য আমাদের অনেক দায়িত্ব ও কাজ করতে হবে।


বিজ্ঞাপন

শনিবার  ৫ আগস্ট,  সকালে শহীদ শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য আমাদের মানুষের কাছে যেতে হবে। মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আহ্বান জানাতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ সম্পর্কে আমাদের মানুষদেরকে বুঝাতে হবে। এ লড়াই চিরন্তন। এ লড়াই চলতেই থাকবে। আমাদের পিছু হাটার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, শহীদ শেখ কামাল ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সোনালী অর্জন। তিনি সব সময় অবিভক্ত ঢাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘুরে বেড়াতেন। ছাত্রলীগকে সংগঠিত করার জন্য কাজ করতেন। তিনি একজন মেধাবী ছাত্র এবং ভালো ক্রিড়া সংগঠক ছিলেন। তিনি নিজেও সব সময় খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতেন।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সত্যের কাছে মিথ্যা সবসময় পরাজিত হয়। শহীদ শেখ কামালের যোগ্য মর্যাদা আমরা আজ তাকে দিতে পেরেছি এটাই বড় আনন্দ। একদিন যারা শহীদ শেখ কামালের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছিল আজ দেখি তারাও তার বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। এটাই হল সত্যের কাছে মিথ্যার আত্মসমর্পণ। যারা একদিন অপবাদ দিয়ে মিথ্যাচার করেছে, বড় গলায় কথা বলেছে, আজ সেই দস্যুদেরও পরিবর্তন হয়েছে। এটাই জাতির পিতার আদর্শের বিজয়।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, শহীদ শেখ কামাল সহজেই সাধারণ ছাত্রদের সাথে মিশে যেতে পারতেন। তিনি ছিলেন বিনয়ী। তিনি ছিলেন খুবই আন্তরিক। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের দায়িত্ব পালন না করেও থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি অন্য দশ জনের মতোই ট্রেনিং নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।

তিনি খুব সাধারণ ভাবে চলাফেরা করতেন। কখনোই পদে যাওয়ার জন্য ব্যাকুল হতেন না। শহীদ শেখ কামাল একজন সাধারণের মাঝেও ছিলেন অসাধারণ। তিনি বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। বাঙালি সাহিত্যের প্রতিও তার ছিল আগ্রহ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।

সভাপতিত্ব করেন  বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত  সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর।

অনুষ্ঠানের সঞ্চলনায় ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের  সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু।

এছাড়াও  অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাস, আব্দুল আলীম বেপারী, সালেহ মোহাম্মদ টুটুল, আনোয়ারুল আজিম সাদেক, কাজী শাহানারা ইয়াসমিন, উপদেষ্টা অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, খায়রুল হাসান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সায়েম, আরিফুর রহমান টিটু, শাহ জালাল মুকুল, আ ফ ম মাহাবুবুল হাসান মাহাবুব,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, উত্তর সভাপতি ইসহাক মিয়া, দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ, প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বিটু, গণযোগাযোগ সাংবাদিকতা বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল হক খান, প্রতিবন্ধী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ টিংকু, গ্রহ্ননা ও প্রকাশনা সম্পাদক কে এম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, মহিলা সম্পাদক এ্যাডভোকেট সালমা হাই টুনি, ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিক,বিঞ্জান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্চিনিয়ার কোবাদ হোসেন, শিশু ও পরিবার সম্পাদক মেহেদী হাসান টিটু, ডিজিটাল আর্কাইভ ও পাঠাগার সম্পাদক এম এ হান্নান, বন ও পরিবেশ সম্পাদক আহম্মদ উল্লাহ জয়েল,ঢাকা মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান নাঈম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ, উপ দপ্তর সম্পাদক এ্যাডভোকেট মনির হোসেন, উপ গণযোগাযোগ সাংবাদিকতা বিষয়ক সম্পাদক তানভীর আক্তার সিপারা, উপ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সম্পাদক ডাঃ উম্মে সালমা মুনমুন, নির্বাহী সদস্য জোহরা পারভীন জয়া, নাবিলা নুহাত চেতীসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *