নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্দোলনের নামে বিএনপি দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা করলে তা প্রতিহত করতে পুরান ঢাকাবাসী প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
আজ শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে পুরান ঢাকার নয়াবাজারের সামসাবাদ খেলার মাঠ সংলগ্ন এলাকায় মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিনামূল্যে চক্ষুসেবা কার্যক্রমের উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার শক্তি আওয়ামী লীগের রয়েছে জানিয়ে সাবেক এই মেয়র বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আন্দোলনের নামে হুমকি দিচ্ছে। শুধু হুমকির মধ্যেই তারা আছে। তারা বলেন ‘শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে সেপ্টেম্বর মাস থেকে কঠোর আন্দোলন করবে’। আওয়ামী লীগের শেকড় অনেক গভীরে। তাই বিরোধী দলের এসব হুমকি এবং আন্দোলনের নামে কর্মসূচি জনসাধারণের দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছুই না। বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার জন্য পুরান ঢাকার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই যথেষ্ট।
বিএনপি লাশের রাজনীতির মাধ্যমে বিদেশিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায় উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, এটা বিএনপির পুরনো কৌশল। তারা জ্বালাও পোড়াও, আগুন সন্ত্রাস করে লাশের রাজনীতি করতে চাচ্ছে। লাশের মাধ্যমে তারা এই দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে এবং বিদেশিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। তাদের এই চেষ্টা আমরা সফল হতে দেব না। আমরা পুরান ঢাকাবাসী রাজপথে ছিলাম, আছি ও থাকব। যে কোনো মূল্যে তাদের এসব চক্রান্ত প্রতিরোধ করব-ইনশাআল্লাহ।
সাবেক এই মেয়র বলেন, আজ আপনারা (বিএনপি) গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের কথা বলেন। আমাদের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে আক্রান্ত করেছেন, তখন কোথায় ছিল আপনাদের মানবাধিকার। আমরা এগুলো জনগণকে স্মরণ করিয়ে দেবো।
সাঈদ খোকন বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, আজ এক দফার আন্দোলন করতে চান। ২০১৪ সালেও তাই করেছেন। টানা ৯০ দিন হরতাল পালন করেও কিছু করতে পারেননি, আগামীতেও পারবেন না। জনগণের কাছে আপনাদের আন্দোলন ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে।
নেতাকর্মীদের সাঈদ খোকন বলে, সামনের জাতীয় নির্বাচন। দেশবিরোধীরা নির্বাচনকে সামনে রেখে আগুন-সন্ত্রাসের চেষ্টা করছে। এই নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। আপনারা বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলেই আজ বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শেখ হাসিনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এদেশের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলেই আজকে দেশটাকে শেখ হাসিনা সম্মানের আসনের নিয়ে গেছেন। তিনি দেশটাকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, দেশে যেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে তা আপনারা উপলব্ধি করতে পারছেন।
তিনি আরও বলেন, এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে। তাই শেখ হাসিনার সরকার বাংলার মাটিতে বারবার দরকার।
এ সময় তিনি রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের পরিবারের খোঁজখবর নেন। সুখে দুঃখে সব সময় নাগরিকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এ ছাড়া তাঁর প্রয়াত পিতা অভিবক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের জন্য দোয়া চান।